বিনোদন ডেস্ক: গুণী নির্মাতা ও অভিনেতা কাজী হায়াতের ছেলে কাজী মারুফ। ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম ছবি ‘ইতিহাস’ দিয়েই বাজিমাত করেন, পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারও। এখন পর্যন্ত অভিনয় করেছেন ৩৫টি সিনেমায়। বর্তমানে নিজেকে চলচ্চিত্র থেকে গুটিয়ে আমেরিকায় বসবাস করছেন।
চলচ্চিত্র থেকে নিজেকে কেনো গুটিয়ে নিয়েছেন সে বিষয়ে বেশ খোলামেলা কথা বলেছেন অভিনেতা কাজী মারুফ। তিনি বলেন, ‘চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের পলিটিক্সের কারণে চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে যেতে হয়েছে। অপুই আমার চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছেন।’
মারুফ বলেন, ২০০৮ সালের ঘটনা। চিত্রনায়ক মান্না আঙ্কেল মারা গেলে ওই সময় অ্যাকশন নায়ক হিসেবে সবাই আমাকে নিতে চাইলেন। সে সময় মান্নান নামে এক মেকআপম্যান ছিলেন। তিনি তার প্রথম ছবিতে আমাকে নায়ক হতে অনুরোধ করেছিলেন। আমার বিপরীতে থাকবেন অপু বিশ্বাস।
তিনি আরো জানিয়েছিলেন, আমি রাজি না হলে অপু বিশ্বাসের শিডিউল পাবে না। মান্নান ভাইয়ের অনুরোধে রাজি হই। পরবর্তীতে অপুর সাথে ১১টি সিনেমায় সাইন করি। মান্না ভাইয়ের ছবিটির শেষ দিনে অপু বলেছিলেন, আপনার মতো হিরো আমি দেখিনি। আপনি অনেক ভালো একজন মানুষ। মজার বিষয় হচ্ছে, তারপরের দিনই অপু বিশ্বাস আমার নামে তার গলার চেইন ও মোবাইল চুরির মামলা দেয়। আর যেখান থেকে এগুলো হারায় সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম না। অথচ অপু আমাকে চোর বানিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। তার সাথে আর কাজগুলো করা হয়নি। যে কারণে তার পলিটিক্সের শিকার হয়ে চলচ্চিত্র থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে হয়।
কেনো এরকম অপবাদ দেয়া হলো- এর উত্তরে মারুফ বলেন, শুনেছিলাম আমার বাবার সঙ্গে এফডিসিতে অপু বিশ্বাসের কী একটা বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছিলো। সে জন্য সে আমাকে চুরির দায়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। যে কারণে তিনি আমার সাথে পলিটিক্স করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।