জুমবাংলা ডেস্ক: অভিনেতা আকবর হোসেন খান পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে ঢাকা-১৭ আসনটি শূন্য হয়। সেই আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। স্বতন্ত্র এই প্রার্থী প্রতিদ্বদন্দ্বিতা করবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাতের (মোহাম্মদ এ আরাফাত)।
এ আসনে হিরো আলমের নির্বাচন করা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। প্রথমত তিনি এ আসনের ভোটার নন। ফলে তাকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় এই এলাকার ভোটারদের এক শতাংশের সাক্ষর নিতে হয়েছে। মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর ইসিতে আপিল করে প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন হিরো আলম।
মনোনয়ন নিয়ে অস্বস্তি কাটলেও সমালোচনা পিছু ছুটছে না তার। তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন গুঞ্জন—হিরো আলম নিজে থেকে ভোটে দাঁড়াননি, তাকে দাঁড় করানো হয়েছে!
একটি মহল প্রচার চালাচ্ছেন— হিরো আলমকে নির্বাচনের বিষয়ে সহযোগিতা করছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। তিনি হিরো আলমকে সাক্ষর সংগ্রহে সহযোগিতা করেছেন এবং এমনকি ২০ লাখ টাকা দেওয়ারও গুঞ্জনও ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
সম্প্রতি সমসাময়িক নানা ইস্যু নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন হিরো আলম । এসময় হিরো আলমের কাছে জানতে চাওয়া হয় পার্থের কাছ থেকে কোনো টাকা পেয়েছেন কিংবা নিয়েছেন কিনা? এমন প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, দেখুন, আমি এ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচনে অংশ নিয়েছি, সবই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। আমার সহযোগিতা প্রয়োজন হলে, আমি কোনো দলের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যেতাম। আর পার্থ ভাইয়ের কাছ থেকে টাকার নেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমি টাকা নিইনি কিংবা তিনি আমাকে টাকা দেননি। আপাতত কোনো দলের নেতার কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা নেওয়ার ইচ্ছা আমার নেই।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) এবং বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেন তিনি। এর মধ্যে বগুড়া-৪ আসনে ১ হাজারেরও কম ভোটে তিনি পরাজিত হন। এর পর থেকেই ব্যাপক আলোচনায় হিরো আলম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।