স্পোর্টস ডেস্ক : শেষ পর্যন্ত শেষ চারে থামল মরক্কো। আফ্রিকার আর কোনো দেশের পক্ষে যা সম্ভব হয়নি, বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে খেলে সেই অসম্ভবকে সম্ভব করল মরক্কো।
বুধবার রাতে কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলে হেরে মরক্কোর স্বপ্নযাত্রার সমাপ্তি ঘটলেও আরেকটি ম্যাচ এখনো তাদের বাকি।
সান্ত্বনা পুরস্কারের মতো তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে আগামীকাল ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে মরক্কো। এই ম্যাচের আগে অপরাজিত ছিল উত্তর আফ্রিকার দেশটি। ফ্রান্সের কাছে হেরে অবসান ঘটে মরক্কো মিরাকেলের। কিন্তু ইতিহাস তারা ঠিকই গড়েছে।
তবে বিদায় নিলেও আশরাফ হাকিমির মরক্কো কাতারে যে ফুটবল-জাদু দেখিয়েছে, তাতে তাদের কখনো ভুলতে পারবে না ফুটবলবিশ্ব।
বিদায় নেওয়ার পর মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুইয়ের যথার্থই বলেছেন, ‘মরক্কোর মন খারাপ করার কিছু নেই। তারা এই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রতিভার গভীর ছাপ রেখে যাচ্ছে। বিশ্বকে আমরা এই বার্তা দিতে পেরেছি যে, জাতি হিসাবে আমাদের আর খাটো করে দেখার কোনো অবকাশ নেই।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি যে, ফুটবল মরক্কোয় বেঁচে আছে।’
এটা ঠিক যে, শেষ চার মরক্কোর সমাপ্তিরেখায় পরিণত হলেও লাল জার্সিধারীরা ফুটবলপিপাসুদের মন জয় করেছে। তাই এই বিশ্বকাপে তার দলের খেলা বিশ্ব মানচিত্রে আটলাসের সিংহরা স্থান করে দিয়েছে, কোচের এই দাবি মোটেও অযৌক্তিক নয়। স্পেন ও পর্তুগালের মতো ফুটবলের পরাশক্তিকে মরক্কো এবার হারিয়েছে। এর নেপথ্যে ছিল রেগরাগুইয়ের ক্ষুরধার ফুটবল-মস্তিষ্ক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।