রংপুর ও গাইবান্ধায় অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত গবাদি পশুকে মাত্র ৮০ পয়সার ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভ্যাকসিন কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত প্রাণিসম্পদ বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের বিরুদ্ধে। গত দুই মাসে অন্তত ৫০ লাখ টাকা তুলেছেন তাঁরা। বিষয়টির সরল স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন ওই কর্মীদের অনেকেই।
খামারি ও গৃহস্থরা জানিয়েছেন, সরকার নির্ধারিত স্বল্প মূল্যের টিকা পেতে কখনো দরদাম, কখনো বকশিশ আবার কখনো উপহার হিসেবে দিতে হচ্ছে এই অর্থ।
রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলায় সম্প্রতি অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গরু, ছাগল ও ভেড়া। এই রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করে দপ্তরটি। দুই জেলায় গতকাল বুধবার পর্যন্ত দুই লাখ ২১ হাজার গবাদি পশুকে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরের পীরগাছা, কাউনিয়া ও মিঠাপুকুর উপজেলায় প্রয়োগ করা হয়েছে এক লাখ ৬৮ হাজার এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জসহ অন্যান্য উপজেলায় ৫৩ হাজার গবাদি পশুকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
গবাদি পশু মালিকদের অভিযোগ, প্রতি ভ্যাকসিনে সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। গড়ে ৩০ টাকা হলেও দুই জেলার কর্মীরা ৬৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা তুলেছেন।
পীরগাছার দেউতি উপজেলার গোলজার হোসেন বলেন, ‘আমার ৭টা গরু আছে।
ওরা এসে বলল, সরকারি একটু খরচ আছে, কিছু টাকা-পয়সা লাগবে। পরে কেউ ২০ টাকা, কেউ ৩০ টাকা কেউ কেউ ৫০ টাকাও দিছে। আবার অনেকে টাকাও দেয় নাই।’
এ বিষয়ে মো. রতন মিয়া এক কর্মী বলেন, ‘টাকা নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। ৮০ পয়সা তো কেউ খুচরা দেয় না।
কেউ ১০ টাকা দেয় কেউ ২০ টাকা, কেউ কেউ পাঁচ টাকাও দিয়েছে। কাউকে বাধ্য করা হচ্ছে না।’
রংপুর প্রাণিসম্পদ বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক ডা. আব্দুল হাই সরকার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এমন অভিযোগ এখনো আমাদের কাছে আসেনি। কেউ এই ভ্যাকসিনের নামে অর্থ নিলে এবং তার প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সূত্রঃ কালের কন্ঠ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।