জুমবাংলা ডেস্ক: খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে গিয়ে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই মাদ্রাসা সুপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার এ ঘটনায় ভিকটিমের নানি বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন, যার নং-০২, তারিখ: ০২-১২-২০২০। পুলিশ ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপারের নাম মো. হাবিবুর রহমান (৫৫)। তিনি পাইকগাছা উপজেলাধীন লস্কর-পাইকগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার এবং কয়রা উপজেলার খিরোল গ্রামের মৃত আবদুল হাকিম সরদারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, হাবিবুর রহমান পাইকগাছা উপজেলাধীন লস্কর-পাইকগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার হিসেবে প্রায় দেড় বছর ধরে চাকরি করছেন।
গত সোমবার মাদ্রাসার পাশে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর বাড়িতে যায় হাবিবুর রহমান এবং তাকে অ্যাসাইনমেন্ট আনার কথা বলে চলে আসে।
পরে সেদিনই মেয়েটি অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে মাদ্রাসায় গেলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে হাবিবুর তাকে নিজের শয়নকক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরলে মেয়ের নানি এলাকাবাসীর সহায়তায় থানায় বিষয়টি জানায়।
এর পর পাইকগাছা থানার ওসির নির্দেশে মাদ্রাসার সুপার হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের নানি বাদী হয়ে বুধবার পাইকগাছা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পুলিশ ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
অভিযুক্ত মাদ্রাসার সুপার হাবিবুর রহমান জানান, কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।
পাইকগাছা থানার ওসি এজাজ শফী জানান, ধর্ষণের অভিযোগে সুপারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।