জুমবাংলা ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আ.লীগ সরকার কোরআন-সুন্নাহর বাইরে গিয়ে কিছু করবে না, এ বিষয়ে আমাদের সরকার ওয়াদাবদ্ধ। আলেম-ওলামাদের প্রতি সবসময় আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। কওমী সনদের স্বীকৃতিও প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রতিটি জেলা-উপজেলার মসজিদ তিনি খেয়াল রাখেন।
তিনি বলেন, একটি শ্রেণি সাধারণ মানুষকে বুঝিয়েছে, আমরা নাকি জুম্মার নামাজের আগে খুৎবায় হস্তক্ষেপ করেছি। আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি, ইমাম সাহেব খুৎবার আগে যে বয়ান করেন সেই বয়ানে দেশের কথা বলবেন, সমস্যার কথা বলবেন, মাদক-সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে বলবেন। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) বিকালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরখরিচায় জামিয়া মাহমুদিয়া আরাবিয়া ইসলামিয়ার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে যোগদান করতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়াজ মাহফিলে গুলশান মসজিদের খতিব আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে কাজিম উদ্দিন ধনু এমপি, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, ময়মনসিংহের রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার মো. হারুন-অর-রশিদ, পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. জহিরুল হক খোকাসহ প্রমুখ।
বাংলাদেশকে মসজিদের দেশ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, ‘মসজিদের দেশ বাংলাদেশ। দেশের অলিতে গলিতে মসজিদ রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মত আল্লাহ ভীরু মানুষ খুব কম দেশে দেখেছি। ধর্মের জন্য আমরা সবসময় কান খাড়া রাখি। আলেমদেরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি তিনি দিয়েছেন। কিন্তু একটি গোষ্ঠী বলতো কওমি মাদ্রাসায় নাকি জঙ্গীদের উত্থান। যেখানে দ্বীনের শিক্ষা হয়, যেখানে আলেম ওলামারা কোরআন নিয়ে চর্চা করেন সেখানে কোনদিন জঙ্গির উত্থান হতে পারে না। ইসলাম হল শান্তির ধর্ম। ইসলাম কখনো মানুষ হত্যার অনুমতি দেয়নি।
তিনি বলেন, যেসব জঙ্গিকে আমরা ধরেছি তাদের প্রায় সবাই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত। তারা স্যোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আকৃষ্ট হয়ে ধংসের দারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল। তবে ইমাম এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা জঙ্গী-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এক হয়েছিল সেখান থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছিলাম। আজ বাংলাদেশ যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এর পেছনে সবারই অবদান রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।