জুমবাংলা ডেস্ক: মহালয়া দিয়ে শুরু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। কৃষ্ণপক্ষের অবসান এবং শুক্লপক্ষ বা দেবীপক্ষের সূচনায় এ মহালয়া।
পুরাণে বলা হয়েছে, যে ক্ষণে পরমাত্মায় অর্থাৎ পরব্রহ্মে লয় প্রাপ্তি ঘটে সেটিই হল মহালয়। চণ্ডিতে মহালয়া হচ্ছে পূজা বা উৎসবের আলয়। এখানে আলয় শব্দটির একটি অর্থ হচ্ছে আশ্রয়। চণ্ডিতে তাই ‘মহালয়’ বলতে ‘পিতৃলোককে’ বোঝানো হয়েছে। পিতৃলোককে স্মরণের ক্ষণকেই বলা হয়েছে মহালয়া। আর ব্যাসদেব মহাভারতে লিখেছেন, পিতৃলোককে স্মরণের অনুষ্ঠানই হলো মহালয়া।
পঞ্জিকা মতে, পিতৃপক্ষের অবসানে, অমাবস্যার অন্ধকার পেরিয়ে আলোকোজ্জ্বল দেবীপক্ষকে আগমন ঘটে, সেই মহালগ্নই জীবনে ‘মহালয়া’। এক্ষেত্রে দেবী দুর্গাকেই সেই মহান আশ্রয় বলা হয়ে থাকে এবং আঁধার থেকে আলোকে উত্তরণের লগ্নটিকে বলা হয় মহালয়া। দুর্গা এবার ঘোড়ায় চড়ে স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যলোক বা পৃথিবীতে আসবেন। বিদায়ও নেবেন ঘোড়ায়। যার ফল হচ্ছে ফসল ও শস্যহানি।
এই মহালয়া শুরুর এক সপ্তাহের মধ্যেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। মহালয়া দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, শনিবার ভোর ৬টায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপে চণ্ডীপাঠ করে দেবীকে আহ্বান জানানো হয়। সকাল ৯টায় ত্রিভঙ্গচরণ ব্রহ্মচারীর চণ্ডীপাঠের সঙ্গে সমবেত কণ্ঠে ইয়াচণ্ডী অর্চনা দেওয়া হয়। সকাল ১১টা পর্যন্ত বিশেষ পূজা দেওয়া হবে। সকালে মহালয়ার মূল আচার-অনুষ্ঠান হিসেবে ঘট স্থাপন করে ফুল, তুলসী ও বেলপাতা দিয়ে পূজা করা হবে।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুক্রবার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সংবাদ সম্মেলন করে পূজা উদযাপন পরিষদ জানায়, এবার সারা দেশে ৩২ হাজার ৪০৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে। এ হিসেবে গত বছরের চেয়ে এ বছর ২৪০টি বেশি পূজা মণ্ডপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ২০ অক্টোবর। ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।