এর আগে গত ১১ মার্চ আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের বিরুদ্ধে গর্ভপাতের চেষ্টা, নির্যাতন, হত্যার হুমকির অভিযোগ এনে মামলা করেন তার ছেলে সাফাত আহমদের স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা।
মামলা দায়েরের পর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জাল হোসেন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার অপর আসামি হলেন, আপন রিয়েল এস্টেটের পরামর্শক মো. মোখলেছুর রহমান।
গত ১৭ জুলাই পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমান ঘটনার অভিযোগের সত্যতা পায়নি বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে।
সেই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে গত ২৫ আগস্ট বাদী নারাজি দরখাস্ত দাখিল করেন। বুধবার বাদীর উপস্থিতিতে সেই নারাজি আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত অভিযোগ তদন্তের জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দিলেন।
রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমদের স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এ মামলার বাদী।
বাদী তার অভিযোগে বলেন, ২০১৫ সালে দিলদার আহম্মেদ সেলিমের ছেলে সাফাতের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর দিলদার তার ওপর নির্যাতন করে আসছেন। স্বামীর অনেক অনৈতিক কাজে তিনি বাধা দিলেও শ্বশুর উল্টো উৎসাহিত করতেন এবং সহযোগিতা করতেন।
অভিযোগে তিনি আরও বলেন, ‘আসামিরা বিভিন্ন সময় তাকে গর্ভপাতের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। গত ৫ মার্চ বাসায় ফেরার পর একই উদ্দেশে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে, চড়থাপ্পড় মেরে ও গর্ভপাত করানোর উদ্দেশ্যে আসামিরা তার তলপেটে লাথি মারার চেষ্টা করেন এবং স্বর্ণালঙ্কর, নগদ অর্থ রেখে এক কাপড়ে বাসা থেকে বের করে দেন। সূত্র : আমাদের সময়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।