বাংলাদেশে আমিষের চাহিদা পূরণ ব্রয়লার মুরগী এবং ডিম সবথেকে বেশি ব্যবহার করা হয়। শরীরে আমিষের অভাব দেখা দিলে নানা রোগ হতে পারে। শরীরে ন্যূনতম আমিষের চাহিদা পূরণ না হলে শিশুদের বিকাশে সমস্যা হবে। গর্ভবতী মায়ের দুধের কোয়ালিটি হ্রাস পাবে।
আমিষের অভাব হলে মানুষ দ্রুত বার্ধক্যে উপনীত হয়ে যাবে। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের পেশী দুর্বল হয়ে যাবে। আজ মাংসের বিকল্প প্রোটিন যেসব খাবারে পাওয়া যাবে তা আলোচনা করা হবে।
শিং মাছ, মাগুর মাছ, পোয়া মাছ, তেলাপিয়া মাছ, সরপুটি মাছ সহ আরো নানা প্রজাতির মাছ আপনি আমিষের উৎস হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন প্রজাতির ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করা হলে সেটি আপনার আমিষের চাহিদা পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
বাদাম এবং বীজ আমিষের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চীনা বাদাম, কাজুবাদাম সিমের বীজ, কুমড়ার বীজ বেশ উপকারে আসে। এক কাপ বা ১০০ গ্রাম পরিমাণ হলেই আপনার জন্য যথেষ্ট। বাদাম এবং বীজে ১৫ গ্রামের বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়।
পালং শাক, সবুজ শাক সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি আপনি আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য খেতে পারেন। এক কাপ ছোট বাঁধাকপিতে আছে তিন গ্রাম প্রোটিন। এককাপ বা ১০০ গ্রাম গরুর দুধে প্রায় ৩.৪ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
দুধকে বলা হয় আদর্শ খাবার। পাশাপাশি পনির এবং দই এর উপর ভরসা রাখতে পারেন। অনেক দেশে প্রোটিনের বিকল্প খাদ্য হিসেবে কাঁঠালের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বড় আকারের এক কোয়া কাঁঠালে আড়াই থেকে তিন গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন থাকতে পারে।
একক বা ১০০ গ্রাম মাশরুমে পাওয়া যায় তিন গ্রামের বেশি প্রোটিন। দুধের শক্তি বাড়ানোর জন্য মাশরুম উপকারী। প্রোটিন হজম হতে বেশ সময় নেয়। এজন্য রাতের দিকে বেশি পরিমাণ প্রোটিনযুক্ত খাবার খাবেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।