জুমবাংলা ডেস্ক : কবি ও সাহিত্য সমালোচক আবদুল কাদির এবং কবি, লেখক ও নারী আন্দোলনের পুরোধা বেগম সুফিয়া কামাল স্মরণে একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি, পত্রিকা ও মিলনায়তন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. সরকার আমিন।
রবিবার (১৯ মে) বাংলা একাডেমির শহিদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে ‘স্মরণ : আবদুল কাদির’ শীর্ষক বক্তৃতা দেন কবি মাহবুব সাদিক এবং ‘স্মরণ : সুফিয়া কামাল’ শীর্ষক বক্তৃতা দেন কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, আবদুল কাদির এবং সুফিয়া কামাল নানাভাবে আমাদের শিল্পসাহিত্যকে ঋদ্ধ করেছেন। তাদের স্মরণ করে বাংলা একাডেমি একটি জাতীয় দায়িত্ব পালন করেছে।
কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, সুফিয়া কামাল কবিতার পাশাপাশি গদ্য চর্চা করেছেন। তার ভ্রমণগদ্যের অনুপম নিদর্শন একটি বই ‘সোভিয়েটের দিনগুলি।’ এই ভ্রমণকাহিনিতে তিনি যেমন ১৯৬৭ সালের বাস্তবতায় সোভিয়েত রাশিয়ার সাম্যবাদী-আধুনিক চিত্র তুলে ধরেছেন, তেমনি তৎকালীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের একজন প্রতিনিধি হিসেবে সোভিয়েতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনে গমনের বিড়ম্বনা ও অভিজ্ঞতা অসাধারণ নৈপুণ্যে প্রকাশ করেছেন।
কবি মাহবুব সাদিক বলেন, আবদুল কাদির বাংলা কবিতা এবং ছন্দচর্চায় এক বিশিষ্ট নাম। পাশাপাশি বাঙালি মুসলমানের কৃতী মনীষার রচনাসম্ভার অনুসন্ধান ও সংকলনেও তাঁর ভূমিকা ঐতিহাসিক। নজরুল, রোকেয়াসহ বহু বিশিষ্ট লেখকের সম্পূর্ণ সৃষ্টিকর্মের সঙ্গে পাঠকের পরিচয় ঘটাতে আবদুল কাদিরের সম্পাদিত রচনাবলি যুগের পর যুগ পালন করেছে প্রধান ভূমিকা।
ড. সরকার আমিন বলেন, আবদুল কাদির এবং সুফিয়া কামাল আমাদের সাহিত্যের স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তারা আমাদের সাহিত্যকে যেমন তাদের কবিতায় সমৃদ্ধ করেছেন তেমনি আমাদের চৈতন্যের জাগরণে রেখেছেন তাৎপর্যপূর্ণ অবদান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির কর্মকতা ড. মাহবুবা রহমান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।