স্পোর্টস ডেস্ক : চলছে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল। এ মহারণে প্রথমার্ধে ২ গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধে পায় ফ্রান্স। এতে ২-২ সমতায় শেষ হয় খেলার ৯০ মিনিট। এরপর অতিরিক্ত সময়ে গড়ালো ফাইনাল। এই সময়ে মেসি আরও এক গোল করে ৩-২ গোলে এগিয়ে নেয় দলকে। এরপরই পেনাল্টি থেকে গোল পায় ফ্রান্স, এমবাপ্পের পা থেকে তৃতীয় গোলে সমতায় গড়ায় ম্যাচ।
রোববার লুইসাইল স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে নিজেদের সেরা একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছে ফরাসি ও আলভিসেলেস্তেরা। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বিশ্বকাপের দাবিদার আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও প্রথমের মত খেলতে থাকে আর্জেন্টিনা। কোন কিছুর বিনিময়েই বিশ্বকাপ তাদের চাই।
৪৯ মিনিটে ডান পাশে কাত হয়ে ফ্রান্স বারে শর্ট করেন ডি পল। কিন্তু বলটি লুফে নেন লরিস। ৫২ মিনিটে কর্নার পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি ফ্রান্স।
৫৫ মিনিটে ডি পলকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন আদ্রিয়েন র্যাবিও। ৫৯ মিনিটে একাই বল নিয়ে ফ্রান্স গোল বারের দিকে ছুটে যান আলভারেজ। তবে ব্যর্থ হন তিনি। বল লাগে গোল বারে।
ম্যাচের ৬০ মিনিটে মেসির একটা চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন র্যাবিও। ৬৪ মিনিটে ডি মারিয়া কে উঠিয়ে নিয়ে মার্কোস একুনিয়েক নামান স্কালোনি।
একটাও টার্গেটে শর্ট করতে পারেনি ফ্রান্স। ৭১ মিনিটে গ্রিজম্যান ও হার্নান্দেজকে তুলে নেন ফ্রান্স কোচ দেশম। ৭২ মিনিটে আবারো হামলা আর্জেন্টিনার। ফার্নান্দেজের শর্ট গোলবারের সামনে থেকে রুখে দেন কিপার লোরিস।
আর্জেন্টিনার ডিবক্সে ৭৮ মিনিটে কুলো মুয়ানিকে ফাউল করে বসেন ওতামেন্দি। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। ৮০ মিনিটে গোল পান এমবাপে। এরপরের মিনিটেই ফের গোল করেন এমবাপে। এতে ২-২ সমতায় ফেরে খেলা।
তারপর নির্ধারিত সময়েগোল না হওয়ায় অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা। ১০৮ মিনিটে মিনিটে ফ্রান্সের গোলে বারে শর্ট করেন মার্টিনেজ যা ঠেকিয়ে দেন লরিস। কিন্তু এবারে সুযোগ পান মেসি। করেন বিশ্বকাপের ৭ম ও নিজের বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের ১৩ তম গোল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।