জুমবাংলা ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন করতে হবে এবং নতুন বাজার খুঁজতে হবে।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) ২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণকে আমি ধন্যবাদ জানাই, তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটের মাধ্যমে আমাদেরকে আবার তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। টানা চারবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছি। আমার কাছে ক্ষমতা কোনো ভোগের বস্তু না। আমার কাছে ক্ষমতা হলো দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের একটা সুযোগ। মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ। মানুষকে সেবা দেওয়ার একটা সুযোগ আমি আবার পেয়েছি।
এ সময় নতুন পণ্য ও বাজার খোঁজার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ইশতেহার দিয়েছি ২০৩০ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় বাড়াব ১৫০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। তবে এটার জন্য নতুন বাজার ধরতে হবে। এ ক্ষেত্রে সময় খুব কম, তারপরও আমার মনে হয় একটা লক্ষ্য স্থির থাকলে যেকোনো অর্জনটা সম্ভব হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি জিনিসের দাম বিশ্বব্যাপী বেড়েছে। আমাদের দেশে তো বেড়েছেই, বাইরে আরও অনেক বেশি বেড়েছে। ইউরোপ-আমেরিকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশে মানুষের ক্রয় ক্ষমতাটা কিন্তু অনেক কমে গেছে। তাই পণ্য চাহিদাটাও তাদের হ্রাস পাচ্ছে। সেটা মাথায় রেখে আমাদের নতুন বাজার খুঁজতে হবে, নতুন জায়গায় যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পণ্য বহুমুখীকরণের লক্ষ্য নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে অধিকারমূলক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে স্বাক্ষর করছি। সেই সঙ্গে রপ্তানি উৎসাহিত করার জন্য আমরা একটা নতুন আইন জাতীয় ট্যারিফ পলিসি, ২০২৩ প্রণয়ন করছি।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, এখানে আমাদের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা আছেন, বিদেশি অতিথিরাও আছেন। আমি একটা অনুরোধ করব আপনাদের, আমাদের আমদানি-রপ্তানিতে ভারসাম্য রক্ষা করা একান্তভাবে দরকার। আপনারা রপ্তানি করেন, রপ্তানি করার সময় যে অর্থ ব্যবহার হয়, তার যে রিটার্নটা আসবে, ঠিক চাহিদা মোতাবেক তা আসে না। সেদিকে সবাইকে আরও একটু যত্নবান হওয়ার জন্য আমি আহ্বান জানাই। এ সময় হস্তশিল্পজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় শেখ হাসিনা আরও বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের যদি প্রসার না ঘটে, কোনো দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়েছিলাম, আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আমরা উৎক্ষেপণ করেছি। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা। আমরা প্রমাণ করেছি, বাংলাদেশের জনগণকে কেউ চ্যালেঞ্জ দিয়ে দাবায় রাখতে পারবে না।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুব আলম।
প্রসঙ্গত, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মেলা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে আয়োজন করা হতো। করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালে মেলা আয়োজন করা হয়নি। আর মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২২ সালে প্রথমবার মেলা পূর্বাচলে বিবিসিএফইসিতে আয়োজন করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।