জুমবাংলা ডেস্ক : গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্স বা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে পাকিস্তান, ভারত, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের চাইতেও এবার অনেকটাই ভাল অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
বিশ্বের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে গবেষণা করা প্রতিষ্ঠান ইনিস্টিটিউট ফর ইকোনোমিক্স এ্যান্ড পিস-এর প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। তাদের সুচকে সন্ত্রাসবাদের এক নম্বর দেশ আফগানিস্তান।
অন্যদিকে, আফগানিস্তানের প্রতিবেশী পাকিস্তানের অবস্থান ছয়। ভারত ১৩, আর যুক্তরাষ্ট্র আছে আছে ৩০ নম্বরে। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও তের ধাপ উপরে ৪৩।
হলিআর্টিজানে হামলার পর সর্বশক্তি দিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ। একের পর এক দুঃসাহসিক অভিযানে জঙ্গিরা হয় ধরা পড়েছে নয়তো মারা পড়েছে।
বেশ কয়েকটি সমন্বিত অভিযানে সোয়াটসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জঙ্গিদের বড় রকমের হামলার মুখেও পড়েছিলো।
ধারাবাহিক সেসব অভিযান ও সামাজিক সচেতনতার কারণে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ পরিস্থিতি এখন দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা তো বটেই এমনটি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের চেয়েও ভালো অবস্থানে পৌঁছে গেছে।
অস্ট্রেলিয়া ও নিউইয়র্ক ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনিস্টিটিউট অব ইকোনোমিক্স এ্যান্ড পিসে এর করা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ সূচকের এক নম্বর দেশটি আফগানিস্তান।
পাকিস্তানের ছয় আর ভারতের অবস্থান ১৩ নম্বরে। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৩০। কিন্তু বাংলাদেশের অবস্থান তাদের চেয়েও ১৩ ধাপ উপরে ৪৩ নম্বরে।
বাংলাদেশের চেয়ে একধাপ নিচে ৪২ নম্বরে যুক্তরাজ্যের অবস্থান। একটি দেশে প্রতিবছরের সন্ত্রাসী ঘটনা, জিম্মি ও হতাহতের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে এই সূচক তৈরি করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের ধুয়া তুলে বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে এলেও সেই দেশেই ধর্ম ও বর্ণ বৈষম্য, মুসলিম ও ইহুদীসহ স্কুলের শিশুদের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটছে। এই জন্যই সুচকে তাদের অবস্থান বাংলাদেশের চেয়েও খারাপ অবস্থানে।
ইনিস্টিটিউট ফর ইকোনোমিক্স এ্যান্ড পিস- এর তথ্য মতে, ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪০ তম আর ২০২৩ সালে ৪৩ তম, ২০১৬ সালে অবস্থান ছিল ২২ তম।
অর্থাৎ, ২০১৬ সালের খারাপ অবস্থা থেকে ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদ দমনে তাদের অবস্থান উপরের দিকে নিয়ে গেছে। তবে, বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলো বাংলাদেশের চেয়ে অনেক পেছনে ছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।