আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উদ্ধার করতে যাওয়া ইরানি বিমানগুলোকে বাধা দেয় ইসরায়েল। ফলে ইরানি উড়োজাহাজ আর দামেস্কে পৌঁছাতে পারেনি। আসাদকে সহায়তা করার জন্য সৈন্য পাঠাতে পারেনি ইরান।
গত ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ার বিদ্রোহী যোদ্ধাদের রাজধানী দামেস্ক দখলের মুখে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। ফলে টানা ২৪ বছর ক্ষমতায় থাকা বাশার আল-আসাদ শাসনের অবসান হয়। এর আগে তার বাবা হাফিজ আল-আসাদ টানা ২৯ বছর সিরিয়া শাসন করেন। বাশার আল-আসাদের পালানোর মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় ৫৩ বছরের আল-আসাদ পরিবারের শাসনের অবসান হয়। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের
বাশার আল-আসাদ ও ইরান প্রসঙ্গে গতকাল রোববার রাতে কথা বলেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, তারা (ইরান) বাশার আল-আসাদকে উদ্ধার করতে চেয়েছিল। সিরিয়ার এই নেতাকে সহায়তার জন্য উড়োজাহাজ পাঠিয়েছিল ইরান। কিন্তু ইসরায়েল তা রুখে দেয়। সেদিন দামেস্কমুখী ইরানের কিছু উড়োজাহাজের দিকে বেশ কয়েকটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠায় ইসরায়েল। পরে ইরানি উড়োজাহাজগুলো ফিরে যায়।
এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য দেননি নেতানিয়াহু। ইরানের দিক থেকেও বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
আসাদকে নিরাপদে সিরিয়া থেকে সরিয়ে নিতে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর উড়োজাহাজ পাঠিয়েছিল আরেক ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া। পরে সেই উড়োজাহাজে করেই তিনি মস্কোয় পালিয়ে যান।
পরবর্তী বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দামেস্ক ছেড়ে বাশার আল-আসাদ প্রথমে সিরিয়ার উপকূলীয় শহর লাতাকিয়ায় রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে যান। সেখান থেকে তাকে মস্কোয় উড়িয়ে নেওয়া হয়। আর মস্কোয় আগে থেকেই ছিলেন তার স্ত্রী আসমা আসাদ ও তাদের তিন সন্তান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।