আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পোল্যান্ডে কাজ করতেন ইউক্রেনের ৩০ বছর বয়সী আন্দ্রি পলিটস্কি এবং রাশিয়ার ২৭ বছর বয়সী তাতিয়ানা ইয়ানচেঙ্কো। সেখানেই পরিচয়, ভালোলাগা। এক পর্যায়ে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু বাঁধ সাধে যুদ্ধ। তাদের পরিকল্পনা ছিল ইউক্রেনে বিয়ে করবেন। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতি তাদের জীবনের নতুন ইনিংস নিয়ে পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করে। খবর ডেইলি সাবাহ।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে যেমন ভরসার বাতিঘর হিসেবে উপস্থিত হয়েছে তুরস্ক, তেমনি পলিটস্কি ও ইয়ানচেঙ্কো তাদের নতুন জীবনের শুরুটা নিরাপদ করার জন্য বেছে নেন তুরস্কের আনতালিয়াকে।
সিদ্ধান্ত নেন, আনতালিয়ার অবকাশকালীন রিসোর্ট কেমারেই তারা বিয়ে করবেন। কোনোভাবে তারা সেখানে পৌঁছলেও জটিলতা দেখা দেয় কাগজপত্র নিয়ে।
তারা উভয়ে নিজ নিজ দেশের কনস্যুলেট থেকে বিয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেতে ব্যর্থ হন। এরপর রাজধানী আঙ্কারায় গিয়ে সমস্যার সমাধান করেন। সেখান থেকে কাগজপত্র নিয়ে আনতালিয়ায় এসে তারপর বিয়ে করেন।
গত শুক্রবার কয়েকজন বন্ধুর উপস্থিতিতে অনাড়ম্বর পরিবেশে তারা বিয়ে সারেন। যুদ্ধের দুই প্রতিপক্ষ দেশের নাগরিক বিয়ে তো সেরে ফেলেছেন, কিন্তু থাকবেন কোন দেশে? আপাতত এর উত্তর নিয়ে তারা সময় নষ্ট করতে রাজি নন। তুরস্কের আনতালিয়ায়তেই সময়টা উপভোগ করতে চান তারা।
তাতিয়ানা ইয়ানচেঙ্কো বলেন, আমরা একে অপরকে ভালোবাসি এবং এখানে বিয়ে করে নিজেদের ভাগ্যবান বোধ করছি। আমাদের দেশের মধ্যে যাই হোক না কেন আমরা একে অপরকে পছন্দ করি, ভালোবাসি।
পলিটস্কি ও ইয়ানচেঙ্কোর বিয়ে পড়ানো কেমার মেয়ার নাসেটি টোপালোলু বলেন, আজ এখানে এক ইউক্রেনীয় ও এক রাশিয়ান নাগরিকের বিয়ে হয়েছে। বিষয়টি এটাই প্রমাণ করে যে, দেশের মানুষ যুদ্ধ চায় না। আশা করি তারা একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এবং সেই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে উভয় দেশ একে অপরের সাথে লড়াই বন্ধ করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।