আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইথিওপিয়ার টাইগ্রে এলাকায় বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। হতাহতদের মধ্যে কয়েকজন শিশুও রয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হতহতরা বাস্তুচ্যুত একটি ক্যাম্পের বাসিন্দা। এই ঘটনার বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি, ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল গেটনেট অ্যাডানে এবং সরকারের মুখপাত্র লেজেসি টুলু।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তরফ থেকে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী অ্যাবিই আহমেদের মুখপাত্র বিলেনে সেয়াম-এর কাছেও মন্তব্য চাওয়া হয়েছে। তবে তিনিও মুখ খুলতে রাজি হননি।
টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে। টিপিএলএফ-এর মুখপাত্র গেটাছিও রেডা এক টুইট বার্তায় জানান, ইথিওপিয়ার সরকার ডেডেবিট শহরে বাস্তুচ্যুতদের একটি ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে।
এদিকে, টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) মুখপাত্র গেটাচেউ রেডা শনিবার টুইটারে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের বাহিনী ‘আরও একটি নিষ্ঠুর ড্রোন হামলা’ চালিয়েছে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্রে। এ হামলায় ৫৬ জন নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছেন। ভুক্তভোগীরা পশ্চিম তাইগ্রে থেকে সংঘাতের কারণে এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
দুই সাহায্যকর্মী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, দেদেবিত শহরে শুক্রবার রাতে এ হামলা চালানো হয়।
তারা আরও জানান, এ হামলায় অসংখ্য শিশু আহত হয়েছে। নিহতদের সংখ্যা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।