আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আল–কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১৪ বছরের জেল এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির সাত বছরের জেল দিয়েছেন আদালত।
সেইসঙ্গে তাদের অনেক অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। আদালত ইমরান খানকে ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করেছে এবং বুশরা বিবিকে এর অর্ধেক অর্থাৎ ৫ লাখ রুপি জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ১৯ কোটি পাউন্ড দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এই রায় দিয়েছে আদালত।
আজ শুক্রবার জিও নিউজ ও ডনের অনলাইন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অভিযোগ উঠেছে, তাদের নেতৃত্বাধীন আল-কাদির ইউনিভার্সিটি প্রকল্পে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে তারা ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়েছেন।
ইমরান খান, ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি আল-কাদির ট্রাস্টের নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। এই প্রকল্পের জন্য তারা মালিক রিয়াজ নামে এক সম্পদশালী ব্যক্তির কাছ থেকে জমি গ্রহণ করেন, যা পরে দাতব্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, প্রকল্পটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে এবং এর মাধ্যমে ২৩৯ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ পাচার হয়েছে।
২০২২ সালে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস হওয়ার পর তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর থেকে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। যদিও বেশ কয়েকটি মামলা স্থগিত হয়েছে, তবে এই মামলাটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, এতে শতাধিক শুনানি এবং হাজার পৃষ্ঠার নথিপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
ইমরান খানের আইনজীবী ফয়সাল ফারিদ চৌধুরী এই রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছেন। তার দাবি, কোনো প্রমাণ ছাড়াই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষক মজিদ নিঝামি মনে করেন, এই রায় পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক আলোচনাকে আরও জটিল করে তুলবে।
সুদকে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানালেন হাসনাত আবদুল্লাহ
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel