আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরাইলের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেলো ৯০ ফিলিস্তিনি। এর আগে তিন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। রোববার (১৯ জানুয়ারি) দীর্ঘ ১৫ মাস রক্তক্ষয়ের পর গাজায় কার্যকর হয় বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি।
এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রথমদিনে তিন ইসরাইলি জিম্মি রোমি গনেন, ডোরন স্টেইন ব্রেচার এবং এমিলি দামারিকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর তাদেরকে রেড ক্রসিংয়ের হাতে তুলে দেয়া হয়। পরে, তাদেরকে ইসরাইলে নিয়ে যাওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চুক্তির অংশ হিসেবে ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় তেল আবিব। চুক্তির আওতায় একজন ইসরাইলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে নেতানিয়াহু প্রশাসন। মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য খান ইউনিস হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
হামাস জানিয়েছে,, ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেমের ৬৯ নারী এবং ২১ কিশোর রয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বেশিরভাগ ফিলিস্তিনেক সম্প্রতি আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো সাজা ঘোষণা করা হয়নি।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে হামাসের হাতে থাকা ৩৩ ইসরাইলি জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইল তাদের হাতে আটক প্রায় ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। চুক্তির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই বন্দি বিনিময় হবে।
একই সঙ্গে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফেরার অনুমতি পাবে। পাশাপাশি ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে।
দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকি জিম্মিরা মুক্তি পাবে এবং গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হবে। এর মাধ্যমে ‘টেকসই শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে’।
তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে- যা শেষ করতে কয়েক বছর পর্যন্ত লাগতে পারে। একই সঙ্গে মৃত ইসরাইলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।