ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা অভিমুখী ত্রাণবাহী নৌযানের বহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ আন্তর্জাতিক জলসীমায় আটকে দেওয়ার ঘটনাকে ইসরায়েলের ‘জলদস্যুর কাজ’ বলে তীব্র সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। নিজের রাজনৈতিক দল একে পার্টির এক সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।
এরদোয়ান জোর দিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলের এই ধরনের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ প্রমাণ করে যে গণহত্যাকারীরা গাজায় নিজেদের অপরাধ ঢাকার জন্য উন্মাদ হয়ে গেছে।
তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, গণহত্যাকারী নেতানিয়াহুর সরকার শান্তি প্রতিষ্ঠার সামান্যতম সম্ভাবনাও সহ্য করতে পারছে না।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আবারও বিশ্বকে গাজার নৃশংসতা ও ইসরায়েলের হত্যাকারী চেহারা তুলে ধরেছে। আমরা আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের ছেড়ে যাবো না। যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমরা সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করব।
প্রায় ৪৫টি জাহাজ নিয়ে গঠিত ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহরটি গত মাসে স্পেন থেকে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এই বহরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফিলিস্তিনপন্থী রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকারকর্মীরা ছিলেন, যাদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর ইসরায়েলের আরোপিত সামুদ্রিক অবরোধ ভাঙাই ছিল এই নৌবহরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গত বুধবার থেকে ইসরায়েলি নৌবাহিনী ফ্লোটিলার বহরে থাকা নৌযান আটক করা শুরু করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শত শত মানবাধিকারকর্মী, রাজনীতিক ও সাংবাদিকদের বহনকারী ফ্লোটিলার প্রায় সবগুলো জাহাজই ইসরায়েলি বাহিনী আটক করেছে।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফ্লোটিলার যাত্রীদের নিরাপদে ইসরায়েলে নিয়ে আসা হয়েছে এবং তাদের ইউরোপে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মন্ত্রণালয় আরও দাবি করেছে, ‘যাত্রীরা সুস্থ ও নিরাপদ আছেন।’ এক্স পোস্টে তারা গ্রেটা থুনবার্গ ও অন্যান্য কর্মীদের ছবিও প্রকাশ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।