অর্থনীতি ডেস্ক : ইস্পাত খাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে চীন। যার অংশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলো পাবে চীনের ওই বিনিয়োগ। ফলে এ অঞ্চলে ইস্পাতের উৎপাদন সক্ষমতা পাঁচ কোটি টন বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর রয়টার্স।
ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, চীনে আগামী বছর ইস্পাতের চাহিদার প্রবৃদ্ধিতে শ্লথগতি থাকবে। এ সময় দেশটিতে ইস্পাতের চাহিদা ৭ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস থাকলেও সেটি কমে ১ শতাংশে আসতে পারে।
তবে এর বিপরীত চিত্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে। আগামীতে ইস্পাতের বৈশ্বিক ব্যবহারের সবচেয়ে বেশি হতে পারে এ অঞ্চলের দেশগুলোয়। প্রতিষ্ঠানটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় ইস্পাতের চাহিদা বাড়বে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। যেখানে আগের প্রাক্কলনে ৩ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধির কথা জানানো হয়। এ অঞ্চলে অবকাঠামো খাতের দ্রুত প্রসারের কারণে ইস্পাতের চাহিদা বাড়বে। এ কারণেই উদীয়মান এসব বাজার ধরতে চীন এখন এ অঞ্চলের ইস্পাত খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে চলেছে।
সাউথ-ইস্ট এশিয়া আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইনস্টিটিউটের (এসইএআইএসআই) মহাসচিব তান আ ইয়ং জানান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর ইস্পাত খাতে মেগা প্রকল্পে চীনের বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এরই মধ্যে গত দু-তিন বছর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় বিশেষ করে ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় বিনিয়োগ বাড়িয়েছে চীন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।