লাইফস্টাইল ডেস্ক : ঈদুল আজহা মানেই কোরবানির মাংস। উৎসবের এই দিনে মাংস রান্না হয় অন্য যেকোনো দিনের থেকে বেশি। আর একারণেই হৃদরোগীরাও অতিরিক্ত তৈলাক্ত জাতীয় খাবার খেয়ে ফেলেন। এরপরেই বেড়ে যায় অসুস্থতা। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললেই ঈদের দিনগুলোতেও হৃদরোগীরা থাকবেন সুস্থ।
গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগির মাংস, ইলিশ মাছ ভাজা কিংবা কলিজা ভাজার মতো ভারী খাবার ঈদের দিন বেশি থাকে। কম থাকে হালকা খাবার যেমন- চপ, কাটলেট, সেমাই, জর্দা বা নুডলস।
তাই সকালে নিজ বাসায় অল্প পরিমাণে হালকা খাবার সেমাই, জর্দা খেয়ে ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়ে বন্ধু-আত্মীয়দের বাসায় যেতে পারেন। হৃদরোগীকে খাবার গ্রহণের সময় তেল, চর্বি-মিষ্টির পরিমাণ কম এমন খাবার খেতে হবে পরিমাণমত।
অন্য কোনো বাসায়ই দুপুর কিংবা রাতের খাবার খাওয়া ঠিক হবে না। সব সময় অল্প অল্প খেতে হবে। নিজের খাদ্য শক্তির চাহিদার কথা মাথায় রাখতে হবে। সারাদিনে ২৫০০-৩০০০ ক্যালরি গ্রহণ করা যাবে।
চর্বি, শর্করা ও আমিষ জাতীয় খাবারের প্রতি গ্রাম থেকে যথাক্রমে ৯, ৪ ও ৪ ক্যালরি খাদ্যশক্তি আসে। চিনি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া যাবে না। কারণ শরীরে প্রবেশের পর চিনি লিভারে গিয়ে চর্বিতে পরিবর্তিত হয়ে যাবে। তাই চিনি কম খেতে হবে আপনার ডায়াবেটিস থাকুক বা না থাকুক।
খাদ্যের পরিমাণ : ঈদের দিনে এক দিনে হঠাৎ বেশি খাবার খাওয়া যাবে না। হজমে সমস্যা হতে পারে। হৃদরোগীর নিজের চাহিদা ও হজম ক্ষমতা হিসাব করে খেতে হবে।
হালকা খাবার : অল্প পরিমাণে ভারী খাবারের সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা হালকা খাবারও খেতে হবে। কম চর্বি শোষণ, ভাল হজম ও শরীর ফিট রাখার জন্য সালাদ, বাদাম, আঙ্গুর ও লেটুস পাতা এসব কিছুটা খেতে হবে। অল্প পরিমাণ লেবুর রস খেতে পারেন।
হৃদরোগীকে চাহিদানুযায়ী পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করতে হবে যা সহজে হজম হয় ও কম তেল-চিনিযুক্ত। এছাড়া কাঁচা লবণ ও ধূমপান একেবারেই করা যাবে না। পরিমিত, সুস্বাদু ও সহজে হজম হয় এমন খাবার খেলেই হৃদরোগীরা ঈদে থাকবেন সুস্থ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।