জুমবাংলা ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল সাহেবরা ক্ষমতায় যাওয়ার রঙিন খোয়াব দেখছেন। যত পারেন খোয়াব দেখেন। দিবাস্বপ্ন কতজনই তো দেখে। তাতে কিছু আসে যায় না। ক্ষমতার পরিবর্তন হবে একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবতর্নের কোনো বিক্ষল্প নেই।
আজ শনিবার বিকেলে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের প্রথম আনুষ্ঠানিক ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে দুপুর দুইটায় ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের প্রতি ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা দয়া করে দণ্ডিত আসামিকে বাসায় রেখেছেন। আমাদের সেইফ এক্সিট দেওয়ার কথা বলেন। লজ্জা করে না আপনাদের গণঅভ্যুত্থান করবেন বলতে। আপনার নেত্রীর মুক্তির জন্য একটি মিছিলও করতে পারেননি। আবার শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বলেন!
তিনি আরো বলেন, বিদেশিদের কাছে নালিশ করে বিএনপি বাংলাদেশ নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে। বিদেশিদের কাছে জিজ্ঞাসা করুন, কোন দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আছে? দুনিয়ার অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও ঠিক সেইভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। ডিসেম্বরে খেলা হবে। আন্দোলন মোকাবেলা হবে।
বিএনপি উদ্দেশ্যে বলেন, টেলিভিশনের পর্দায় সিলেটের সঙ্গে গাজীপুরকে মিলিয়ে দেখুন। গাজীপুরে শুধু মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন। আর সিলেটে ৫ জেলার মানুষ হাজির হয়েছে। তিনদিন আগে থেকে কাঁথা, বালিশ, বিছানাপত্র, হান্ডিপাতিল নিয়ে সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীরা সিলেটে গেছেন। সেখানে সাত দিনে আগে থেকে রওনা হয়। খানাপিনা ভালোই চলছে। পাতিলে পাতিলে খাবার, গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগির মাংস, মাছের কুপ্তা, এরপর পেপসিকোলা। ভালোই আছে বিএনপি। ক্ষমতায় না থাকলে কি হবে এখনো তারা ভালোই আছে।
সরকারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন উন্নয়ন কাকে বলে। বিশ্ব ব্যাংক বলেছে সারা দেশের উন্নয়ন বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। মির্জা ফখরুলের বুকে ব্যথা। বড়ই জ্বালা। কালো চশমা পড়ে তিনি কিছুই দেখতে পান না। পদ্মা সেতু নিজের টাকায় হয়েই গেল। বঙ্গবন্ধু ট্যানেল মেট্রোরেল উদ্বোধনের অপেক্ষায়। কত ফোরলেন, সেতু করা হয়েছে। একদিনেই এক শ সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমতউল্লা খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সদস্য অ্যাডভোকেট এ বি এম রিয়াজুল কবীর কাওছার, আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও ইকবাল হোসেন অপু, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ, অধ্যাপক রুমানা আলী টুসি প্রমুখ।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
ফের সভাপতি আজমতউল্লাহ, ভারমুক্ত হলেন মন্ডল
প্রথম অধিবেশন শেষে বিকেলে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ঘোষণা করা হয় বহু কাঙ্ক্ষিত কমিটি। প্রধান অতিধি ওবায়দুল কাদের কমিটি ঘোষণার আগে বলেন, সম্মেলনের শুরুতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ইচ্ছুকদের নাম আহ্বান করা হয়েছিল। সভাপতি পদে দুইজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৬ জনের নাম পাওয়া যায়। যাচাই বাছাই শেষে তারা সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আজমতউল্লাহ খান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডলকে মনোনীত করার বিষয়ে একমত হয়েছে।
পরে তিনি সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আজমতউল্লাহ খান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আতাউল্লাহ মন্ডলের নাম ঘোষণা করা করলে নেতাকর্মীরা করতালি ও স্লোগান দিয়ে তাদের স্বাগত জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।