চিত্রনায়িকা শাবনূরের বিবাহ বিচ্ছেদ এখন টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে। গেল মাসের শেষের দিকে স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয়কে উকিলের মাধ্যমে তালাকনামা পাঠান শাবনূর। দুজনের বনিবনা না হওয়ার কারণেই বিচ্ছেদের পথে হেটেছেন তিনি।
কে না জানিয়ে গোপনে অন্য সম্পর্ক গড়ে তোলেন অনিক। শাবনূরের সঙ্গে সংসার চলাকালীন সময়েই প্রায় চার বছর আগে শাবনূরের স্বামী অনিক আরও একটি বিয়ে করেছেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম আয়েশা। এই বিষয়টি শাবনূরকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে বলে দাবি করছেন এ নায়িকার ঘনিষ্ঠজনরা।
বিশেষ সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৩ সালে শাবনূরের ছেলে সন্তান জন্মানোর পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় অনিকের। তখন থেকেই তারা দুজন থাকেন।
শুধু তাই নয়, প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরতেন অনিক। ঠিক মতো শাবনূরের খোঁজ খবরও রাখতেন না। এসব কারণেই দাম্পত্য কলহ চলছিলো তাদের। এমনটাই অভিযোগ নায়িকার।
ডিভোর্স ও দ্বিতীয় বিয়ের ব্যাপারে জানতে শাবনূরের স্বামী অনিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে ডিভোর্সের ব্যাপারে নিরব রয়েছেন চিত্রনায়িকা শাবনূরও। তিনি বর্তমানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানকার নাম্বারে কল দিয়ে সেটি বারবার বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গত ২৬ জানুয়ারি অনিককে তালাক দিয়েছেন শাবনূর। নায়িকার সই করা নোটিশটি এডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে গত ৪ ফেব্রুয়ারি অনিকের উত্তরা এবং গাজীপুরের বাসার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। শাবনূরের পাঠানো তালাক নোটিশের অনুলিপি তার স্বামী অনিকের এলাকার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং কাজী অফিস বরাবরও পাঠানো হয়েছে। এই তালাক নোটিশে সাক্ষী রয়েছেন মো. নুরুল ইসলাম ও শামীম আহম্মদ নামে দুজন। আইনগতভাবে ৯০ দিন পর তাদের এই তালাক কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর অনিক মাহমুদ হৃদয়ের সঙ্গে শাবনূরের আংটি বদল হলেও তারা বিয়ে করেন ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বরে। সেই সংসারে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইজান নিহান নামে এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।