নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নে এক রাতেই দুটি বাড়ি ও একটি গোয়ালঘরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা দুটি বাড়ি থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। একই রাতে আরেক গ্রাম থেকে পাঁচটি গরু পিকআপে করে চুরি করে পালিয়ে যায় তারা। রবিবার (৯ নভেম্বর) গভীর রাতে এসব চুরির ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাওনা ইউনিয়নের শিরিশগুড়ি গ্রামের মাওনা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আলী আকবরের বাড়িতে প্রথমে চুরির ঘটনা ঘটে। গভীর রাতে চোরেরা ঘরের তালা ভেঙে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। একই রাতে ওই গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে রাইসুলের বাড়িতেও একই কায়দায় চুরি হয়। দরজার তালা কেটে ঘরে ঢুকে নগদ টাকা ও কাপড়সহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নেয় চোরেরা।
এদিকে মাওনা ইউনিয়নের পাশের বারতোপা গ্রামে আরও ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় কৃষক আব্দুল কাশেমের গোয়ালঘরের তালা কেটে পাঁচটি গরু পিকআপে করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। চুরি হওয়া গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ছয় লাখ টাকা।
কৃষক আব্দুল কাশেম জানান, রাত ৪টার দিকে তিনি ঘুম থেকে উঠে গরুগুলোর খোঁজ নেন এবং কিছুক্ষণ পর আবার ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উঠে দেখেন গোয়ালঘরে একটি গরুও নেই। পরে ভাইকে নিয়ে মাওনা চৌরাস্তা গিয়ে খোঁজ নিলে স্থানীয়রা জানান, কিছুক্ষণ আগেই একটি পিকআপে গরুগুলো ঢাকার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চুরি হওয়া গরুগুলোর মধ্যে তিনটি গাভি ও দুটি ষাঁড় ছিল, যেগুলোর মোট মূল্য প্রায় ছয় লাখ টাকা।
আবেগাপ্লুত কণ্ঠে কৃষক কাশেম বলেন, “পাঁচটি গরুই ছিল আমার সব। এখন আমি একেবারে নিঃস্ব। আমি চাই, চোরদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।”
মাওনা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রুহুল আমীন বলেন, “ভোররাতে কৃষক আব্দুল কাশেমের গোয়ালঘর থেকে পাঁচটি গরু চুরি হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। মাঝেমধ্যেই এমনভাবে পিকআপে করে গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। পুলিশ প্রশাসনের উচিত রাতে টহল ও নজরদারি বাড়ানো।”
শ্রীপুর থানার চকপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী কৃষক লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চোরদের শনাক্তে আমরা ইতিমধ্যে অনুসন্ধান শুরু করেছি।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



