জুমবাংলা ডেস্ক: একেক সময় একেক নাম-পরিচয়; ঠিকানাও ভিন্ন। পেশা গৃহকর্মী। তবে সেটা রাজধানীর অভিজাত এলাকায়। পরের ধাপ বাসা থেকে সবকিছু নিয়ে পালিয়ে যাওয়া বা চুরি। পুলিশ বলছে গৃহকর্মীর আড়ালে চুরিই তার মূল পেশা।
এমন এক নারীকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে আছে একাধিক চুরির মামলা। নাম-পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে বাসায় কাজের সুযোগ দেয়ায় ঘটছে এরকম ঘটনা।
গেলো ১৬ই নভেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এই বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে কাজ নেন এই নারী। নিজেকে রোজিনা পরিচয় দিয়ে কাজ নেয়ার তিনদিনের মধ্যেই দশ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করে পালিয়ে যান।
রীনা নামে অন্য আরেকজন গৃহপরিচারিকার মাধ্যমে কাজ পান রোজিনা। মামলার তদন্তে নেমে গৃহপরিচারিকার একটি ফোন কলের সুত্র ধরে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থেকে কথিত রোজিনাকে গেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় সাড়ে ছয় লাখ টাকা ও চুরি করা স্বর্ণালংকার।
পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার হওয়া এই গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে এর আগে আরো বেশকটি চুরির মামলার তথ্য পেয়েছেন। সবগুলোর ধরণ একই।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দার গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, “কাজের মেয়ে কেন্দ্রিক অনেক অপরাধ হয়। কখনো সিকিউরিটি গার্ড, ড্রাইভার বা অন্য বাসার কাজের মেয়ের সাথে আন্তরিকতায় মন জয় করে কাজ নিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণ নিয়ে চলে যায়।”
গেলো মার্চে গুলশানের একটি বাড়িটি থেকে নগদ ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণ এবং কয়েক কোটি টাকার এফডিআরের কাগজপত্র নিয়ে পালিয়ে যায় গৃহপরিচারিকা।
গেলো বছর রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীনকে হত্যায় জড়িত ছিল গৃহকর্মী। ঐ গৃহকর্মী নিজের পরিচয় গোপন করে কাজ নেন। পরে চুরি করে পালানোর সময় বাধা দিলেও খুন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।