বিনোদন ডেস্ক: আজ সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর সূত্রাপুরে নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেছেন বরেণ্য চলচ্চিত্র অভিনেতা, লেখক ও চলচ্চিত্র প্রযোজক এটিএম শামসুজ্জামান।
জানা যায়, তার মরদেহ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) নেয়া হবে না।
অভিনেতার মেয়ে কোয়েল ও স্ত্রী রুনি জামান জানিয়েছেন, এটিএমের মরদেহ শিল্পী সমিতি বা বিএফডিসি বা অন্য কোনও কর্মক্ষেত্রে নেয়া হবে না।
এর আগে অভিনেতার ছোট ভাই সোলাইমান জামান রতন জানিয়েছেন, এটিএম-এর মরদেহ প্রথমে তার নারিন্দা পীরের ওইখানে নেয়া হবে গোসলের জন্য। এরপর সূত্রাপুর জামে মসজিদে নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। ভক্ত-অনুরাগীদের জন্য স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারে মরদেহ রাখা হবে। জোহরের নামাজের পর মরদেহের দাফন সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন।
অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের অভিষেক ১৯৬৫ সালে। এরপর ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়ক হিসেবে তিনি আলোচনা আসেন।
১৯৮৭ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দায়ী কে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ২০১২ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান এটিএম শামসুজ্জামান। ৪২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই অভিনেতা।
শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।