আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মহাধুমধামে ৭৩তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে ভারত। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে স্বাধীন হয় দেশটি। এ উপলক্ষে দেশজুড়ে বর্ণিল আয়োজন করা হয়। তবে সবচেয়ে বড় আয়োজনটি ছিল নয়াদিল্লির লালকেল্লায়। লাখো জনতার উপস্থিতিতে গতকাল সেখানে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার এবারের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে ঘুরেফিরে এসেছে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রসঙ্গ। এ ইস্যুতে বিরোধিতাকারীদেরও কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি। কাশ্মীরি জনগণের জীবনমান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে মোদি বলেন, সেখানে এক লাখ কোটি রুপি বিনিয়োগ করা হবে। কাশ্মীরিদের ভাগ্যোন্নয়নের দায়িত্ব বিজেপি সরকারের। কাশ্মীরের অস্থায়ী বিশেষ মর্যাদা ছিল। যে কারণে সেখানে উন্নয়ন হয়নি। এ ছাড়া কাশ্মীর নিয়ে রাজনীতি, পরিবারতন্ত্র, স্বজনপ্রীতি, সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদের জন্য বিরোধীদের দিকে তীর ছুড়েছেন তিনি। এদিকে একই ভাষণে তিনি বলেন, তিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে আরও ভালো সমন্বয়ের জন্য চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ পদ সৃষ্টি করা হবে। স্বাধীনতার ৭২ বছরে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য এ ধরনের প্রথম উদ্যোগ এটি।
কয়েক দিন আগেই ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন মোদি। কাশ্মীরের সামগ্রিক উন্নয়ন, স্থায়ী শান্তি ও সমৃদ্ধির বার্তা দিয়ে উপত্যকার মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে গতকালের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭০ বছরে যে কাজ হয়নি, দ্বিতীয়বার সরকারে আসার পরই ৩৭০ ও ৩৫-এ অনুচ্ছেদ বিলোপের বিল ভারতীয় সংসদের উভয় কক্ষেই দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পাস হয়েছে। এর অর্থ- সবার মনেই এটা ছিল, সবাই চাইছিলেন। কিন্তু শুরু কে করবে, সেটাই ঠিক হয়নি। জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলও আমরা পাস করেছি।’
মোদি বলেন, ‘৭০ বছরে প্রায় সব সরকার কিছু না কিছু চেষ্টা করেছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি। যখন ফল আসে না, তখন নতুন করে ভাবতে হয়। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের নাগরিকদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হোক, এটা আমাদের সবার দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে যত বাধা এসেছে, আমরা সেগুলো দূর করার চেষ্টা করছি।’
এর পরেই বিরোধীদের উদ্দেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ তোলেন, গত ৭০ বছর আপনাদের চেষ্টা শুধু বিচ্ছিন্নতাবাদকে শক্তি জুগিয়েছে, সন্ত্রাসবাদের জন্ম দিয়েছে, পরিবারতন্ত্রকে পুষেছে আর দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতিকে আরও শক্তিশালী করেছে। যার ফলে কাশ্মীরের নারীদের অধিকার মিলত না, দলিত ভাইবোনদের অধিকার মিলত না। এখন সব সুযোগ সবার জন্য খুলে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।