আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এবার গবেষণাগারে তৈরি মুরগির মাংসে অনুমোদন দিলো সিঙ্গাপুর। যুক্তরাষ্ট্রকে স্টার্ট-আপ ‘ইট জাস্ট’-এর গবেষণাগারে তৈরি মুরগির মাংস বিক্রির জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে দেশটি। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বিশ্বে প্রথম পরিষ্কার মাংস হিসেবে নিয়ন্ত্রকদের অনুমতি পেয়েছে তারা। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির।
জানা গেছে, এ মাংস কোনো প্রাণীকে হত্যা করে প্রস্তুত করা হয় না। ক্লিন বা কালচারড মাংসের বিষয়টি এখনো প্রাথমিক অবস্থায় আছে। এ ধরনের মাংস সাধারণ পরীক্ষাগারে প্রাণীর পেশিকোষ কালচার করে তৈরি করা হয়। তবে এর উৎপাদন খরচ বেশি বলে এখনো তা জনপ্রিয় হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মুরগির মাংস নাগেটে ব্যবহার করা হবে। তবে কবে নাগাদ এটি বাজারে পাওয়া যাবে তা এখনো জানা যায়নি।
সিঙ্গাপুর সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ইট জাস্ট ‘বিশ্ব খাদ্য শিল্পে একটি বড় অগ্রগতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। অন্যান্য দেশও সিঙ্গাপুরের পথ অনুসরণ করবে বলে কম্পানিটি আশা করছে।
গত এক দশকে ডজন খানেক কম্পানি চালু হয়েছে যারা কৃত্রিম মাংস বাজারজাতের চেষ্টা করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দুটি কম্পানি হচ্ছে ইসরায়েলভিত্তিক ‘ফিউচার মিট টেকনোলজিস’ এবং বিল গেটস-এর অনুমোদন পাওয়া কম্পানি ‘মেমফিস মিট’। দুটি কম্পানিই চেষ্টা করছে বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যের সুস্বাদু কৃত্রিম মাংস সরবরাহ করতে।
সিঙ্গাপুরের একটি কম্পানি ‘শিয়ক মিটস’ কাঁকড়া এবং চিংড়ির মাংস গবেষণাগারে তৈরির চেষ্টা করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।