জুমবাংলা ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এবার যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকাভুক্ত করে স্মার্ট এনআইডি দিতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ সমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে ইসির এ সিদ্ধান্তের কথা জানান সচিব মোঃ জাহাংগীর আলম। তার আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সকালে ছয়টি এজেন্ডা নিয়ে সভা হয়।
সভা শেষে সচিব বলেন, বাংলাদেশি প্রবাসী নাগরিকদের এনআইডি করার যে পাইলট প্রকল্প সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলছে, তার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরবর্তীকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও দুটি দেশ যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবে কাজ শুরুর অনুরোধ জানিয়েছে। সেগুলো কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
করোনা মহামারির সময় প্রবাসী বাংলাদেশিদের এনআইডি সেবা দেওয়ার জন্য অনলাইন আবেদন শুরু করে। ছয়টি দেশে তা শুরু হলেও তিন বছর পর ২০২৩ সালের জুলাইয়ে বর্তমান কমিশন সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দেয়।
ভোটের আগে যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের হাতে এনআইডি সেবা দেওয়ার আশা রাখেন সচিব। তিনি বলেন, ‘আমরা এটা শুরু করেছি। কবে পাবে, (দুই দেশে টিম) না যাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। তবে আশা করি, আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে করতে পারব।’
বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন নিয়ে নানা ধরনের জটিলতা পেরিয়ে কে এম নূরুল হুদা কমিশন ২০১৯ সালের নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় অনলাইন নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু এরপর মহামারিতে সেই উদ্যোগ থমকে যায়। কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন আবার সেই কাজে গতি আনার উদ্যোগ নেয়। বাংলায় সিইসি ও ইসির (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) খসড়া অনুমোদন
ইসি সচিব মোঃ জাহাংগীর আলম জানান, আচ কমিশন সভায় ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন’-এর খসড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জাহাংগীর আলম জানান, ১৯৮৩ সালের অরডিন্যান্স বাংলায় অনুবাদ করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। কারণ, মহামান্য হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট, সরকারি নির্দেশনার আলোকে মামলার রায়ে সামরিক শাসনামলের অরডিন্যান্স ও আইনগুলো বাংলায় করা হবে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ সভায় বর্তমান ইসি ২০২৩ সালের এ খসড়া অনুমোদিত হয়েছে। এখন ইসি সচিবালয় তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। সেখানে ভেটিংয়ের পর মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়ে সংসদে যাবে। এ খসড়ায় কোনো পরিবর্তন হয়নি, শুধু বাংলায় হবে, সালগুলো পরিবর্তন হয়ে ২০২৩ হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জানান, সিইসি ও ইসির বিদ্যমান সুবিধাদি একই থাকছে। সিইসি আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি যে সুযোগ-সুবিধা পান সেটাই পাবেন; আর কমিশনাররা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমান সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
এই কমিশন সভায় ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ নীতিমালা, প্যানেল প্রস্তুত নির্দেশিকা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সূচি ও ভোটের সময় মাঠ কর্মকর্তাদের আপ্যায়ন ভাতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ব্রিফিংয়ের সময় ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ও এনআইডি উইং মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।