জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন, প্রশিক্ষিত কর্মী তৈরি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও উন্নীতকরণে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের জন্য সহযোগীর ভূমিকায় থাকতে চায় দেশটি।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে স্বাক্ষাত করে এই আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক। বুধবার (২৪ এপ্রিল) মন্ত্রীর বাসভবনে এই স্বাক্ষাত অনুষ্ঠান হয়।
সারাহ কুক বলেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্ব রয়েছে। যুক্তরাজ্য বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নসহ এভিয়েশন শিল্পের নানা খাতে এর আগে একত্রে কাজ করেছে। এভিয়েশন শিল্পের কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন, প্রশিক্ষিত কর্মী তৈরি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা অধিকতর উন্নতকরণসহ আরও সম্ভাব্য নতুন নতুন ক্ষেত্রে বিস্তৃত পরিসরে সহযোগিতা করতেও আগ্রহী আমরা।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে সফলভাবে এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের জন্য বন্ধু রাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার আগ্রহকে আমরা স্বাগত জানাই। এভিশন শিল্পের উন্নয়নে আমাদের দুই দেশের একত্রে কাজ করাটা হবে আনন্দের। এভিয়েশন শিল্পে কোন কোন ক্ষেত্রে দুই দেশের একত্রে কাজ করার সুযোগ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।
ফারুক খান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের জন্য সরকার কাজ করছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণসহ দেশের সব বিমানবন্দরে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আরও অধিকতর উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।
মন্ত্রী জানান, সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক হাবে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ চলছে। এই বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ শেষ হলে বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ, অর্থনীতি এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গেম চেঞ্জারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।