জুমবাংলা ডেস্ক : বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ একাদশ জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে উত্তাপ ছড়িয়েছেন। তিনি নির্বাচনে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। এ সময় পুরো নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।
আজ সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে থাকেন হারুনুর রশীদ। নিজের নির্বাচনী এলাকার পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে নির্বাচনী ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রপতির সংলাপ নিয়ে কথা বলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য চলাকালে হৈচৈ শুরু করেন সরকারি দলের সদস্যরা। এ নিয়ে সংসদে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তিনি স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরকার দলীয় সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, এত অধৈর্য হইয়েন না, প্লিজ! এত অধৈর্য হচ্ছেন কেন? যা সত্য, তা বলার অন্তত সুযোগ স্পিকার আমাকে দিয়েছেন।
এর আগে বিএনপির সংসদীয় দলের নেতা হারুনুর রশীদ বলেন, গত সংসদ অধিবেশনের পর আমার নির্বাচনী এলাকায় গত ৩০ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচন হয়েছে। তার আগে ৫ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমি গত সংসদে আবেদন রেখেছিলাম, আমরা এই সংসদে আছি, অন্ততপক্ষে আমার নির্বাচনী এলাকায় যেন জনগণ ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছিলাম। কিন্তু আমার এলাকায় সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। সেই দিন ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি। ইভিএমে ভোট হয়েছে। ইভিএম কেন্দ্রগুলোতে অনেকে ব্যাচ লাগিয়ে ঘুরেছে, কেউ বলেছে, আমি ইভিএম মনিটর করছি, কেউ বলেছে ইভিএমের টেকনিশিয়ান। আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলি। কিন্তু কোনো উত্তর পাইনি।
হারুনুর রশীদ বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ হচ্ছে। আসলে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে জনগণের আগ্রহ, উৎসাহ একেবারেই নাই। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন। আমি বাংলাদেশের নির্বাচনের কথা বলব না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি করব। আমার এলাকায় পৌরসভা নির্বাচনে যে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে কেন সংসদে থাকব?
বিএনপি দলীয় এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের তিন বছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, দুর্নীতিবাজ যে-ই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না। অসৎ উপায় অবলম্বন করাও দুর্নীতি। আপনি অসৎ উপায়ে নির্বাচন করেন ও নির্বাচিত হন। অসৎ উপায় অবলম্বন করে ভর্তি হন-নিয়োগ পান। অসৎ উপায়ে যেকোনো কর্ম বাস্তবায়ন ইসলামে নিষিদ্ধ রয়েছে। এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।