লাইফস্টাইল ডেস্ক : ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ‘সুপারফুড’-এর ধারণা খুবই জনপ্রিয় হচ্ছে বর্তমান পৃথিবীতে। এ রকম সুপারফুড আসলে শারীরিক সক্রিয়তা বৃদ্ধি করে মেদ ঝরাতে সাহায্য করতে পারে।
চিয়া বীজগুলি নিয়মিত ডায়েটে রাখলে পুষ্টি যেমন হয়, তেমনই তা উপকারী। এই বীজের মধ্যে রয়েছে এক ধরনের জেল জাতীয় পদার্থ যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। হৃদযন্ত্র থেকে মস্তিষ্কের শক্তির বাড়ানোর জন্য চিয়া বীজ খুবই কার্যকরী। ওই ছোট্ট সুপারফুডে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ, ফাইবার এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
চিয়া বীজ কীভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে?
চিয়া বীজ ফাইবার-সমৃদ্ধ। তার ফলে খুব সহজেই পেট ভরে যায়। ক্ষুধা নিবারণে সহায়ক হতে পারে। শুধু তাই নয়, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, চিয়া বীজের ব্যবহার ভিসারাল অ্যাডিপোজ টিস্যু কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই ভিসারাল অ্যাডিপোজ টিস্যু আসলে পেটের চর্বি।
সব থেকে বড় কথা হল এই চিয়া বীজ যে কোনও খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। রইল কয়েকটি চিয়া বীজ রেসিপি—
১. চিয়া পুডিং
প্রথমেই চিয়া বীজ ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। এর পর একটি পাত্রে দুধ, দই, চিয়া বীজ, ম্যাপেল সিরাপ এবং লবণ যোগ করে ফেটিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি সারারাত ঢেকে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। পর দিন চিয়া পুডিং ঘন এবং ক্রিমি হয়ে যাবে। উপর থেকে কিছু তাজা ফল ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। ঠান্ডা ঠান্ডা খেতে দারুন লাগবে।
২. ফল এবং বাদামের স্যালাড
একটি পাত্রে নারকেলের দুধ, চিয়া বীজ এবং মধু যোগ মিশিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিতে হবে। তারপর ঘণ্টা দুয়েক রেখে দিতে হবে। পরে এই মিশ্রণের মধ্যে সমস্ত ফল ছোট ছোট করে কেটে মিশিয়ে দিতে হবে। উপর থেকে বাদাম ছড়িয়ে দিতে হবে। অথবা, সমস্ত ফল চৌকৌ করে কেটে একটি পাত্রে রেখে উপর থেকে চিয়া বীজের মিশ্রণ ঢেলে দেওয়া যেতে পারে।
৩. চিয়া বীজ ও ওটমিল
একটি পাত্রে, ওটস, চিয়া বীজের সঙ্গে সামান্য দারচিনি এবং লবণ মিশিয়ে নিতে হবে। মাঝারি আঁচে একটি পাত্র বসিয়ে বেশ খানিকটা বাদাম মিল্ক নিয়ে আস্তে আস্তে নাড়ুন। তাতে চিয়া বীজ ও ওটমিলের মিশ্রণটি মিশিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে কম আঁচে। বেশ খানিকটা সময় ফুটতে দিতে হবে যাতে ওটস সিদ্ধ হয়ে যায়। পায়েসের মতো হয়ে গেলে উপর থেকে মধু, কিছু ফল, বাদাম ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে স্বাদ মতো।
৪. চিয়া বীজ ডিটক্স ওয়াটার
একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে চিয়া বীজ ভিজিয়ে দিতে হবে। পরে পুদিনা পাতা, লেবুর রস এবং মধু যোগ করে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে। খানিকটা থকথকে তরল তৈরি হবে। এটিই দারুন স্বাস্থ্যকর ডিটক্স ওয়াটার!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।