স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো ওটস। অনেকে ডায়েট করার জন্য প্রত্যেকদিন খাবারের তালিকায় ওটস রাখেন। কেউ সকাল বা বিকালের নাস্তায় খেয়ে থাকেন ওটস। এতে উপকারিতা রয়েছে তবে অপকারিতার পরিমাণটাই বেশি। আজ আপনাদের সাথে এ খাবারের আদ্যপান্ত নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ওটসের মধ্যে অনেক ফাইবার রয়েছে এবং তা হজম করতে বেশ সময় লাগে। ফলে লম্বা সময় ধরে আপনার ক্ষুধা লাগবে না। প্রতিদিন আপনার দেহে যে পরিমাণ ফাইবার প্রয়োজন তার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ মেটানো সম্ভব এ খাবার দিয়ে।
বিটা গ্লুকাগোন নামক এক ফাইবার রয়েছে ওর মধ্যে। এর ফলে আপনার পেটের কিছু সমস্যার সমাধান হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার একটা বড় সমাধান পাবেন। খারাপ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে ওটস।
দেহে যেন অতিরিক্ত শর্করা জমা না হয় সে বিষয়ে সহায়তা করে এ খাবার। শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে এটি। এমনকি উচ্চ রক্তচাপের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে এটি। এই সমস্ত কার্যক্রম হৃদপিণ্ড স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমায় এটি। মস্তিষ্কে সেরাটোনিন এর মাত্রা বৃদ্ধি করে ওটস। সেরাটনিন রাগ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এটি দুশ্চিন্ত দূর করে মন ভালো রাখতে সহায়তা করে। এই খাবারের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্তন ও কোলন ক্যান্সার হতে আপনাকে বিরত রাখবে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে যেসব নারী প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ ওটস খান তাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ৪১ শতাংশ হ্রাস পায়। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওটস খেলে সমস্যা হতে পারে। এলার্জিজনিত সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
পেট ফাঁপা থাকা, গ্যাস্ট্রিক এবং হজমের মত সমস্যা তৈরি হতে পারে যদি এ খাবার আপনি বেশি খান। এটি একটি জটিল কার্বোহাইড্রেট। রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে ফেলবে এটি। যাদের কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে তাদের সমস্যা বাড়াতে পারে এটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।