উচ্চ রক্তচাপ কমাতে অনেকেই নানা ওষুধ খান। প্রতিদিন প্রেশারের ওষুধ খেলেই যে আপনার মধ্যে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমে যাবে, এমন নয়। আবার সেই ওষুধ যে একবার খেয়ে মুক্তি পাওয়া যায়, তা–ও নয়। বছরের পর বছর খেয়েই যেতে হয় সেই ওষুধ। কিন্তু ওষুধ ছাড়াও এ থেকে মুক্তি সম্ভব।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিন ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি লাইফস্টাইলের ওপরও নজর দিতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে সহজেই উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, পাশাপাশি হৃদ্রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়। নতুন একটি সমীক্ষায় জানা গেছে, শ্বাস–প্রশ্বাসের বিশেষ একটি ব্যায়ামের মাধ্যমেও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। ব্যায়ামটি ইনস্পিরেটরি মাসল স্ট্রেংথ ট্রেনিং নামে পরিচিত; তা সপ্তাহের মধ্যে রক্তচাপ কমাতে পারে প্রতিদিনের ব্যায়াম বা ওষুধের সমান উপকারিতাসহ।
সম্প্রতি কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা উচ্চ রক্তচাপের ওপর শ্বাসের ব্যায়াম বা ‘ব্রিদিং এক্সারসাইজ’-এর প্রভাব নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছেন। তাঁরা দেখেন, প্রতিদিন পাঁচ মিনিট করে এই ব্যায়াম করলে উচ্চ রক্তচাপ ক্রমেই কমতে থাকে। টানা ছয় সপ্তাহ এভাবে শ্বাসের ব্যায়াম করে গেলে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা ৯ পয়েন্ট পর্যন্ত কমতে দেখা গেছে।
কীভাবে করবেন এই ব্যায়াম?
* স্বাভাবিক শ্বাস নিতে হবে।
* তালুর চাপে ডান দিকের নাসারন্ধ্র বন্ধ করতে হবে।
* বাঁ দিকের নাসারন্ধ্র দিয়ে শ্বাস নিতে হবে।
* এরপরে বাঁ দিকের নাসারন্ধ্র অনামিকার চাপে বন্ধ করতে হবে।
* ডান দিকের নাসারন্ধ্র দিয়ে শ্বাস ছাড়তে হবে।
* এবার ডান দিকের নাসারন্ধ্র দিয়ে শ্বাস নিতে হবে।
* একইভাবে আগের মতো তালু দিয়ে ডান দিকের নাসারন্ধ্র বন্ধ করতে হবে।
* এবার শ্বাস বাঁ দিকের নাসারন্ধ্র দিয়ে ছাড়তে হবে।
* গোটা প্রক্রিয়াটির সময়ে তর্জনী ও মধ্যমা কপাল ছুঁয়ে থাকবে।
* এভাবে চালাতে হবে পাঁচ মিনিট।
এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কমাতে অ্যারোবিক বা কার্ডিও ব্যায়াম কার্যকর। তবে নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে, আরেকটি ব্যায়ামও উচ্চ রক্তচাপ কমাতে বেশ কার্যকর। ব্রিটিশ জার্নাল অব স্পোর্টস মেডিসিনে গত ২৫ জুলাই প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, স্কোয়াট বা প্ল্যাঙ্কের মতো ব্যায়াম উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকর। তবে রক্তচাপ কমানোর ক্ষেত্রে নিজে নিজে কোনো ব্যায়াম শুরু না করে অবশ্যই আগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।