কক্সবাজার প্রতিনিধি: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের দেয়া কর্মসূচিতে বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের কোলাহল না থাকায় সৈকতের কাছে সমুদ্রের নীল পানিতে ঝাঁকে ঝাঁকে ডলফিনের ভেসে বেড়ানোর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে কয়েকদিন থেকে। তাদেরকে মনের আনন্দে খেলতেও দেখা যাচ্ছিল।
কিন্তু আজ দেখা গেল এক ভিন্ন দৃশ্য। ইনানী বীচ থেকে টেকনাফের দিকে ২২ কিলোমিটার দূরত্বে শামলাপুর সৈকতে পড়ে আছে এক মৃত ডলফিন। শান্ত এই সমুদ্র সৈকত মূলত জেলেদের মাছ ধরার ঘাটি বলে বিখ্যাত।
স্থানীয়দের বক্তব্য, আজ জেলেদের জালে একটি ডলফিন আটকে পড়লে জেলেরা সেটাকে সৈকতে টেনে এনে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
ঘটনাটি স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে একে অমানবিক কাজ উল্লেখপূর্বক প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করছে পরিবেশকর্মী ও পর্যটনপ্রেমীরা।
কক্সবাজারের পরিবেশকর্মী ও সেভ দ্য ন্যাচার অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন রিয়াদ জানান, নানা টোটকা ওষুধের জন্য ডলফিন হত্যা করে তার মাংস ও হাড় নিয়ে যায় জেলেসহ একটি চক্র। এ ডলফিনটিও সেই কারণে মারা হতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রশাসনকে জানানো হলে ডলফিনটি মাটি চাপা দেয়া ছাড়া আর কোনো তৎপরতা দেখায় না তারা। বিচার না হওয়ার কারণেই সামুদ্রিক প্রাণী হত্যার হার বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি।
কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) হুমায়ুন কবির বলেন, তারা ডলফিনের মৃত্যুর খবর পায়নি। ঘটনার সত্যতা পেলে অবশ্যই জেলেদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জয়নাল আবেদীন নামে একজন ব্যাংকার লিখেছেন, ‘ডলফিন হচ্ছে সমুদ্রের সৌন্দরর্য। পর্যটকদের তারা নির্মল আনন্দ দেয়। ডলফিনকে এভাবে মেরে ফেলা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। যারা নিরহ এই প্রাণীটিকে মেরে ফেলেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হোক।’
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ আগে হঠাৎ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে ডলফিনের দেখা মেলে। ১০ থেকে ১২টি ডলফিনের এই দলটি উপকূলের একদম কাছে চলে আসে। এসময় উপস্থিত স্থানীয়রা পাড় থেকেই ডলফিনের খেলা উপভোগ করেন।
একপর্যায়ে কলাতলীতে অবস্থানরত সাইমন বিচ রিসোর্টের এমডি মাহবুব রহমান রুহেল কৌতূহলবশত স্থানীয় সার্ফারদের সঙ্গে নিয়ে সাগরে নেমে পড়েন এবং কিছু ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।