জুমবাংলা ডেস্ক : নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী মাজারের পুকুর থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ যে খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে, তা নয় বছর বয়েসী স্থানীয় এক শিশুর বলে জানা গেছে। পুলিশ জানায় মাছ ও কচ্ছপকে খাবার দিতে গিয়ে সোমবার দুপুরে নূর আলম নামে শিশুটি পুকুরে পড়ে গিয়েছিল। নূর আলমের বাড়ি সিলেটের হবিগঞ্জে। মা-বাবার সঙ্গে মাজার সংলগ্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত সে। সোমবার কোথাও খুঁজে না পেয়ে রাতে তার মা বায়েজিদ বোস্তামী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। মাথার খুলি ও পা উদ্ধারের পর শিশুটির মা পরিচয় শনাক্ত করে এবং মাজারের সিসি ক্যামেরা দেখে পুলিশও বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। তবুও পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে বলে জানান অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আবু বক্কর।
মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ মাজারের পুকুর থেকে একটি মাথার খুলি উদ্ধার করে। এরপর সন্ধ্যায় দুটি পা উদ্ধার করা হয়। পা দুইটির মধ্যে বাম পায়ের হাঁটু থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত মাংস ছিল। আর ডান পায়ের শুধু পাতায় মাংস ছিল বলে জানিয়েছিলেন বায়েজিদ থানার ওসি প্রিটন সরকার। তিনি তখনই ধারণা দিয়েছিলেন, এটি একটি শিশুর দেহের খণ্ডাংশ।
পুলিশ জানায় লকডাউনে মাজারে লোক সমাগম ছিল না। শিশুটি সোমবার দুপুর ১টার দিকে পুকুরের ঘাটে মাছ ও কচ্ছপকে খাওয়ার দেওয়ার সময় পা পিছলে পড়ে গেলেও কেউ টের পায়নি।খুলি ও পা উদ্ধারের পর মাজারের সিসি ক্যামেরায় শিশুটির পুকুরে পড়ে যাওয়ার ভিডিও দেখা গেছে। মাজারের খাদেমদের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায় , এ পুকুরে গজার, পাঙ্গাসসহ বেশ কিছু রাক্ষুসে মাছ ও বড় বড় কচ্ছপ আছে। শিশুটি পুকুরে ডুবে যাওয়ার পর রাক্ষুসে মাছের খাবারে পরিণত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।