
দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি সমুদ্রপথে শিপিং সেবা চালু হওয়ায় পণ্য পরিবহনের সময় কমে এসেছে ২৩ দিন থেকে মাত্র ১০ দিনে, আর খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছেন, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। সরাসরি শিপিং সেবার ফলে লজিস্টিক দক্ষতা বেড়েছে, কাস্টমসে বিলম্ব কমেছে, এবং পাকিস্তানি পণ্য বাংলাদেশে আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ১০০ শতাংশ পরিদর্শন বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়, আর অক্টোবরের নবম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়ে সমঝোতা হয়। এর ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান ইতিমধ্যে ৫০ হাজার টন চাল রপ্তানি করেছে এবং আগামী মাসগুলোতেও চাল রপ্তানি অব্যাহত রাখবে।
লিখিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ও ডেনিম এক্সপোতে পাকিস্তানের দুই শতাধিক কোম্পানি অংশ নিয়েছে, যা বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও উৎপাদন খাতে পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের প্রতিফলন।
সামুদ্রিক যোগাযোগের পাশাপাশি দুই দেশ এখন সরাসরি আকাশপথ চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইসহাক দার জানান, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পাকিস্তানের দুটি বেসরকারি বিমানসংস্থাকে ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে। উভয় পক্ষ এখন সময়সূচি ও লজিস্টিক চূড়ান্ত করার কাজ করছে। তাঁর প্রত্যাশা, এই ফ্লাইট চালু হলে ব্যবসা ও পর্যটন—উভয় ক্ষেত্রেই দুই দেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে।
দশম গ্রেড বেতনসহ তিন দফা দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান শুরু
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



