আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উৎপত্তি এমন তথ্য আমাদের সকলেরই জানা। তবে এবার চীনা সরকারের একজন মুখপাত্র দিলেন বিস্ফোরক এক তথ্য। বললেন, করোনার আঁতুড়ঘর ‘উহান’ নয়, বরং প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়েছে আমেরিকার থেকেই। ইউএস আর্মিই এটা তৈরি করে চীনে ছড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস যে নিছক মারণ জীবাণু নয়, বরং জিনের গঠন বদলে তৈরি করা রাসায়নিক মারণাস্ত্র, এমন খবরও আমেরিকাই বিশ্বজুড়ে রটিয়েছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) এক টুইট বার্তায় লেখেন, মার্কিন সেনাদের থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল উহানে। সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়ায় চীনের মূল ভূখণ্ডে।
ঝাওয়ের দাবি, গত বছর অক্টোবরে উহানে আয়োজিত সপ্তম মিলিটারি ওয়ার্ল্ড গেমে যোগ দিয়েছিলেন আমেরিকার অন্তত ৩০০ জন সেনা অ্যাথলেট। তখনই তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ফ্লু-তে আক্রান্ত হন। পরে কয়েকজনের মৃত্যুও ঘটে। তখন বলা হয়েছিল নিছক জ্বর বা সংক্রামক ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এসব সেনাদের। পরে জানা যায়, তাঁরা সকলেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।
চীনা মুখপাত্রের এমন দাবির পরেই হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে বিশ্বে। মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-এর ডিরেক্টর রবার্ট রেডফিল্ড স্বীকার করেছেন মার্কিন সেনাদের রক্তে সে সময় করোনাভাইরাসের জীবাণু মিলেছিল এটা ঠিক, তবে তাঁদের থেকেই যে ভাইরাস উহানে ছড়িয়েছিল সেটা একেবারেই ঠিক নয়। চিনের দাবি পুরোপুরি অস্বীকার করেন তিনি।
এদিকে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বিস্ফোরক এমন দাবির সেই ভিডিও এখন সমস্ত চীনা ওয়েবসাইটে ভাইরাল হয়ে গেছে। চীনারা এখন বলছেন, ‘নাক ঘুরিয়ে হলেও আমেরিকা মানতে বাধ্য হচ্ছে যে, তাদের সেনাদের থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। সাহস থাকলে আমেরিকার গোটা বিশ্বের সামনে জোর দিয়ে এটা স্বীকার করা উচিত।’
2/2 CDC was caught on the spot. When did patient zero begin in US? How many people are infected? What are the names of the hospitals? It might be US army who brought the epidemic to Wuhan. Be transparent! Make public your data! US owe us an explanation! pic.twitter.com/vYNZRFPWo3
— Lijian Zhao 赵立坚 (@zlj517) March 12, 2020
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



