আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দিন দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আশঙ্কা আর আতঙ্ক বাড়ছে দক্ষিণ কোরিয়ায়।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত দেশটিতে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২০৮ জন। মৃত্যু হয়েছে একজনের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দায়েগু ও চেংদো নামক দুটি শহরকে ‘স্পেশাল কেয়ার জোন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সামরিক সদস্যদের ঘাঁটি থেকে অন্যত্র চলাচলের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এদিকে শুক্রবার নতুন করে আরও ৪৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে সেখানে। চীনের বাইরে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস সবচেয়ে বড় ছোবল মেরেছে দেশটিতে।
দক্ষিণ কোরিয়ার দেয়া সরকারি হিসাব অনুযায়ী, স্পেশাল কেয়ার জোন ঘোষণা করা দায়েগু শহর ও এর আশেপাশের অন্তত ১১০ জন বাসিন্দা এখন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত। দায়েগু শহরে ২৫ লাখ মানুষের বাস। শহরটির মেয়র অনাকাঙ্খিত সংকট ঘোষণা করার পর শপিং মল, রেস্তোরাঁ এবং একাধিক সড়ক এখন বন্ধ।
এছাড়া উল্লিখিত চার্চটির চার শতাধিক সদস্যের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা গেছে। যদিও তাদের পরীক্ষা নিরিক্ষা চলছে। দায়েগু শহরের মেয়র কুন ইয়ং এক প্রেসি ব্রিফিংয়ে শুক্রবার এই তথা জানান। শহরে জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরের বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বেশ কিছু সেনা করোনা ভাইরাস পজিটিভ হওয়ায় বৃহস্পতিবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সকল সেনাদের ব্যারাক থেকে অন্যত্র যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এছাড়া সামরিক বাহিনীতে কাজ করে এমন কোনো সদস্য ছুটি নিয়ে বাড়িতে যেতে পারবেন না এবং কোনো অতিথিও তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।