জুমবাংলা ডেস্ক : বছর দেড়েক আগে ধর্ম জামাই-শাশুড়ী সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সাবালক সন্তানও রয়েছে তাদের। কিন্তু স্ত্রীকে ছেড়ে যে বিধবা ধর্ম শাশুড়ির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছেন জামাই আকারুল তা কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি। শেষে সুযোগ বুঝে স্ত্রী-সন্তানকে ফেলে বিধবা ধর্ম শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে গেলেন আকারুল নামের জামাই। তারপর থেকে ৩ সন্তানকে নিয়ে অসহায় অবস্থা স্ত্রীর। করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেই গেল বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) এমনই ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গোপালপুর গ্রামে।
জামাই আকারুল হোসেন (৪০) ওই গ্রামের মৃত মজিবর শেখের ছেলে ও শাশুড়ি আসমা খাতুন (৩৫) একই গ্রামের মৃত ফারুক হোসেনের স্ত্রী। জামাই আকারুল ইসলাম পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। স্ত্রী-সন্তানকে ফেলে রেখে বিধবা ধর্ম শাশুড়িকে নিয়ে পালানোর ঘটনায় ওই গ্রাম ও আশেপাশের এলাকার সাধারণ মানুষের মুখে মুখে সমালোচনা ও মুখরোচক গল্প হয়ে উঠেছে।
গ্রামবাসী জানায়, এক বছর আগে আকারুলের সাথে ধর্ম জামাই সম্পর্ক গড়ে বিধবা আসমার। আসমার স্বামী না থাকার সুবাদে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। শাশুড়ি আসমার পরিবারে কর্মক্ষম ব্যক্তি না থাকায় সংসারের সব কাজ ধর্ম জামাই আকারুলই করতো। ফলে তার বাড়িতে রাতে দিনে যাতায়াত ছিল অবাধ।
বিধবা আসমার দেবর মিলন হোসেন জানান, তার ভাই দেড় বছর আগে মালয়েশিয়ায় কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সেই থেকে ভাবি দুই মেয়েকে নিয়ে নিজের সংসার নিজেই দেখভাল করতে থাকেন।
মিলনের ভাষ্যমতে, সাংসারিক বিষয় নিয়ে কোন আলাপ আলোচনা তার ভাবি করে না বরং ধর্মজামাইকে নিয়ে তার ওঠাবসা। ভাবি শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে মায়ের বাড়িতে যাই। সেখান থেকেই লম্পট আকারুলের সাথে পালিয়েছে।
রাজমিস্ত্রী আকারুলের স্ত্রী ববিতা খাতুন জানান, আমার স্বামী বাইরে কাজ করার কথা বলে নিরুদ্দেশ হয়েছে। যাওয়ার সময় নগদ টাকা নিয়ে গেছে। বিধবা আসমা সংসার ভাঙার জন্য আমার স্বামীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এখন আমি সন্তানদের নিয়ে পানিতে পড়েছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আমরা গ্রামের মানুষ বিব্রত। লোকমুখে শুনেছি রাজমিস্ত্রী আকারুল বিধবা ধর্মশাশুড়ি পাতিয়ে আসমাকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।
নিত্যানন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জানান, গত ৩মাস আগে তাদের বিষয় নিয়ে পরিষদে সালিশ বৈঠক হয়। সেখানে তাদের সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠে। তারা সমাজে সুন্দরভাবে বসবাস করবে এমন মুচলেকায় সালিম বৈঠক মিমাংশা হয়। তবে হুট করে এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করবে কেউ ভাবতে পারেনি। ওদের সুষ্ঠু বিচার হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন। শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বজলুর রহমান জানান, জামাই শাশুড়ি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কেউ থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।