আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যৌনতার রাজধানী হিসেবে পরিচিত থাইল্যান্ডের পাতায়া। পাশপাশি যৌন পর্যটনের জন্য খ্যাতি আছে পুরো থাইল্যান্ডের। আর করোনার কারণে কারফিউ জারি হওয়ায় এবার বিপাকে পড়েছে দেশটির প্রায় ৩০ হাজার যৌন কর্মী।
থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে পাতায়া পর্যন্ত রেড লাইট হিসেবে পরিচিত এলাকাগুলোতে নাইট ক্লাব এবং মেসেজ পার্লারগুলো ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পিম নামের ৩২ বছর বয়সী এক যৌনকর্মী এএফপিকে বলেন, আমি করোনা ভাইরাস নিয়ে শঙ্কিত কিন্তু আমার খদ্দের খুঁজতে হয় যাতে আমি আমার খাবার এবং খাবারের জন্য উপার্জন করতে পারি।
গত শুক্রবার থেকেই করোনা বিস্তার ঠেকাতে থাইল্যান্ডে রাত ১০টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে দেশটির সরকার। এর কয়েকদিন আগে থেকেই থাইল্যান্ডে পানশালা এবং রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়দেশটির সরকার। থাইল্যান্ডে অধিকাংশ যৌনকর্মীরাই বিভিন্ন পানশালায় কাজ করে। সেখান থেকেই তারা খদ্দের সংগ্রহ করে। আর এসব পানশালা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন দিশেহারা দেশটির যৌন কর্মীরা।
অ্যালাইস নামের আরেক যৌন কর্মী এএফপিকে বলেন, আমি প্রতি সপ্তাহে ৩০০ থেকে ৬০০ ডলার আয় করি। কিন্তু ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের আয়ও থেমে গেছে। এগুলো করি কারণ আমরা গরীব। আমরা যদি হোটেল বিল না দিতে পারি তাহলে তারা আমাদের লাথি দিয়ে বের করে দেবে।
থাইল্যান্ডে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৬৯ জন। মারা গেছেন ২৩ জন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।