একই দিনে পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস। তাও আবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভ্রমণে বের হন চট্টগ্রামের ‘প্যাসিফিক জিন্স গার্মেন্টস’ নামের একটি পোশাক কারখানার কর্মীরা। দুটো ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া করে ওঠেন তারা।
কিছুক্ষণ পরই বোট দুটি প্রতিযোগিতা করে জোরে চলতে থাকে। হঠাৎ একটি বোট কাত হয়ে উল্টে যায়। মুহূর্তেই পানিতে ডুবে নিভে যায় পাঁচটি প্রাণ। বসন্ত দিনে ভালোবাসার আনন্দযাত্রা নিমিষেই মিলিয়ে যায় গভীর বিষাদে। মরদেহগুলো রাঙামাটি সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছুফিউল্লাহ।
নিহতরা হলেন- রিনা আক্তার (২২), শীলা বেগম (২৭), আসমা বেগম (২৫) ও আফরোজা (২৮)। বাকি একজনের নাম জানা যায়নি। এ নৌদুর্ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েকজন।
পুলিশ জানায়, রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু থেকে সুবলং ঝরনা এলাকায় যাচ্ছিল পর্যটকবাহী বোট দুটি। যাওয়ার পথে ডিসি বাংলো এলাকায় একটি বোট ডুবে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধারে নামেন। পরে সেখানে যোগ দেয় রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ প্রশাসন, রেড ক্রিসেন্ট ও রোবার স্কাউট দল। পরে সেখান থেকে ওই পাঁচ নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করেন তারা।
নিহতদের সঙ্গে আসা পর্যটক মো. আবদুর রহিম বলেন, ৪৫ জনের দলের সঙ্গে এসেছি। দুপুর ১২টার দিকে ইঞ্জিনচালিত পর্যটকবাহী দুটো বোটে ভাগ করে উঠি। কিন্তু ডিসি বাংলো এলাকায় পৌঁছলে বোট দুটি প্রতিযোগিতা করে জোরে চলতে থাকে। এর মধ্যে হঠাৎ করেই একটি বোট কাত হয়ে উল্টে যায়।
রাঙামাটি হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শওকত আকবর বলেন, পাঁচ নারীর মরদেহ আনা হয়েছে মর্গে। এদের মধ্যে তিনজনের বয়স ২০ বছরের নিচে এবং দুজন ৪০ এর নিচে। এ ছাড়া আরও এক নারী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী নদীর কলার ডিপো এলাকায় বোট ডুবে দুই শিশুসহ তিনজন নিখোঁজ হয়েছেন। এরা হলেনÑ টুম্পা মজুমদার (৩০), দেবলীলা (১০) ও বিনয় (৫)।
কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, নৌকাডুবিতে তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন ডুবুরিরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।