জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অতি. এসপি) আলেপ উদ্দিনকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে তুলে নেওয়ার পর আর কোন খোঁজ পাচ্ছে না পরিবার। গত মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয় থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয়।
পরিবারের তুলে নেওয়ার অভিযোগের বিপরীতে পুলিশ বলছে, তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ নাজিমুল হক বলেন, ‘তার একটা মামলার বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য এবং কথা বলার জন্য ডেকে নিয়ে গেছে। এখানে তুলে নিয়ে যাওয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি।’
কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও আলেপ উদ্দিন এখন কোথায় আছেন সেটি পরিবারকে জানানো হয়নি। যে কারণে তার পরিবার উদ্বিগ্ন। বুধবার দিবাগত রাতে আলেপ উদ্দিনের স্ত্রী ওয়াফা নুসরাত সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে আলেপ উদ্দিনকে তুলে নেওয়ার সময় তিনি স্ত্রীকে ফোন করে বলেছিলেন, বরিশালের ডিবি তাকে তুলে নিয়ে গেছে।
নুসরাত আরও বলেন, আমার জানামতে আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। তারপরেও কেন তাকে তুলে নিয়ে গেছে, কোথায় রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানতে পারছেন না।
ইতোমধ্যে ২৪ ঘণ্টার অনেক বেশি সময় পার হয়ে গেছে, এখন পুরো পরিবার উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মো. বেলায়েত হোসেন বুধবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, আলেপ উদ্দিনকে তুলে নেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাকে ঢাকার ডিবি কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ডেকে পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে ঢাকার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বলতে পারবেন।
এরপর রাতেই এ বিষয়ে জানতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র, গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহর মৃত্যু
আলেপ উদ্দিনের স্ত্রী ওয়াফা নুসরাত জানান, আলেপ উদ্দিন পুলিশের ৩১তম বিসিএস কর্মকর্তা। তিনি বরিশাল রেঞ্জে সংযুক্ত ছিলেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তিনি পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) কর্মরত ছিলেন। কোনো আভিযানিক দলে বা মাঠে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ছিলেন না
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।