নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : গাজীপুরের কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল-নরসিংদী বাইপাস সড়কে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে প্রাইভেটকার ঠেকিয়ে ইয়ূথ স্পিনিং মিলস লিমিটেডের সুতা ভর্তি একটি কাভার্ডভ্যান ফিল্মি স্টাইলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার ৯ দিন পর ঘটনার সাথে জড়িত ৬ ডাকাত, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও লুট হওয়া সুতা ভর্তি কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ৪ ডাকাতকে ২ দিন করে রিমান্ড শেষে বুধবার (২২ জুলাই) সকালে গাজীপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক।
আটকৃতরা হলেন নরসিংদী জেলার মাধবদির বিরামপুর গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে প্রাইভেটকার চালক শাহিন মিয়া (৩২), একই গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে পারভেজ হোসেন (১৯), হাছেন আলীর ছেলে শাহীন (২৪), গাজীরগাছ গ্রামের তাহের আলীর ছেলে আরাফাত (৩২), নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারের ছনপাড়া গ্রামের মোকচান মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়া (২৮), একই উপজেলার চরভাসানীয়া গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে আলতাফ হোসেন (৪০)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম মোল্লা বিপিএম জানান, গত ৯ জুলাই বিকেলে কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল-নরসিংদী বাইপাস সড়কে বালীগাঁও নামকস্থানে সাদা রংয়ের একটি (ঢাকা মেট্রো-গ-২৯-৪৭৭১) প্রাইভেটকার সুতা ভর্তি একটি কাভার্ডভ্যানের (ঢাকা মেট্রো-উ-১১-২৪৫৮) সামনে এসে গতিরোধ করে এবং প্রাইভেটকারে থাকা ৬ জন নিজেদের ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে ফিল্মি স্টাইলে কাভার্ডভ্যানের ড্রাইভার মো. হাবিবুর রহমান (৫০) ও হেলপার রাজু আহমেদকে (৩০) হাত-পা বেঁধে সুতা ভর্তি কাভার্ডভ্যানটি ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় তাদের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের উলুখোলা বাজার এলাকার মঠবাড়ি মোড়ে ফেলে রেখে চলে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে বিষয়টির সত্যতা পায় পুলিশ। পরে এ ঘটনায় গত ১১ জুলাই ইয়ূথ স্পিনিং মিলস লিমিটেডের নিরাপত্তা বিভাগের ইনচার্জ মো. জহিরুল ইসলাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় ডাকাতি মামলা (নং ১৩) দায়ের হয়। সেই মামলায় কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পংকজ দত্ত ও থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হকের যৌথ নেতৃত্বে সংগীয় ফোর্স নিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে মামলার ৬ আসামীসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, কাভার্ডভ্যানসহ লুণ্ঠিত সুতা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে এবং গত ১৯ জুলাই বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেফতারকৃত প্রাইভেটকার চালক শাহিন, পারভেজ, শরীফ ও আলতাফকে ২ দিন করে রিমান্ড শেষে পুনরায় জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এই মামলায় বাকী আসামীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।