কিডনি আমাদের শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ দূর করে। পাশাপাশি শরীরের পানি ও ইলেকট্রোলাইটের (সোডিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি) ভারসাম্য বজায় রাখতে এর ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া বিশেষ হরমোন উৎপাদনের মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে দারুণ ভূমিকা। শরীরের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণেও কিডনির গুরুত্ব অনেক এবং এর ফলে বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ সম্ভব হয়। তাই কিডনি ভালো রাখতেই হবে। হাতের কাছেই বেশ কিছু ফল আছে, যেসবে মিলবে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, ফাইবার বা আঁশ ও পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ উপাদান।
আঙুর
আঙুরে প্রচুর ফাইবার বা আঁশ ও পানি থাকে, যা কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে। আঙুর শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়, যা কিডনির জন্য ভালো। এ ছাড়া এতে ফ্ল্যাভোনয়েড ও রেজভেরাট্রল নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা কিডনির কোষকে সুরক্ষা দেয়। তবে কিডনি রোগে আক্রান্ত বা পটাশিয়াম নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আঙুর খাওয়া উচিত। কারণ, এতে পটাশিয়ামও থাকে।
পেঁপে
পেঁপেতে আছে প্রচুর ভিটামিন, অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, ফাইবার বা আঁশ ও প্যাপেইন নামক এনজাইম থাকে, যা কিডনির সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। পেঁপে শরীর থেকে টক্সিন বা দূষিত পদার্থ দূর করতে সহায়ক, হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং প্রদাহ কমায়, যা কিডনির জন্য ভালো।
আপেল
আপেল কিডনির জন্য খুবই উপকারী। এতে প্রচুর ফাইবার বা আঁশ, ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে, যা শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এবং কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে। আপেলে পটাশিয়াম কম বলে কিডনি রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এ ছাড়া আপেল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা কিডনির সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আনারস
আনারসে আছে প্রচুর পানি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা কিডনির কার্যকারিতা ভালো রাখতে সহায়তা করে। আনারসে থাকা ব্রোমেলিন এনজাইম প্রদাহ কমায়, যা কিডনির সঠিক কার্যকারিতার জন্য উপকারী। এ ছাড়া এতে ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম আছে, যা শরীরের দূষিত পদার্থ দূর করতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে কিডনির রোগ থাকলে আনারস খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।