জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম থেকে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে (১৬) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে এনে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (৪ অক্টোবর) রাতে উপজেলার ওই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে নুরুজ্জামানের বাড়ির সাইফুলের ঘরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী কিশোরী, ধর্ষক ও সহযোগীদের আটক করেছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের থানায় নিয়ে যায়।
ধর্ষক ও তার সহযোগীরা হল- বসুরহাট-চট্টগ্রাম রুটের বসুরহাট এক্সপ্রেসের হেলপার উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সৈয়দ ড্রাইভারের বাড়ির মাজহারুল ইসলামের ছেলে ইমন (১৯), মুছাপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নুরুজ্জামান মিয়ার বাড়ির রইসল হক মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৯), রামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাঞ্ছারাম এলাকার ইছাক মিয়ার নতুন বাড়ির কামাল হোসেনের ছেলে সিএনজিচালক জামাল উদ্দিন পিয়াস (২৩) ও একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মক্কানগর এলাকার মৃত মমিনুল হকের ছেলে নসিমনচালক মহিউদ্দিন (৩৫)।
সহযোগীদের সহযোগিতায় সাইফুলের বাড়িতে রেখে ইমন একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে ওই কিশোরী অভিযোগে জানায়। ওই কিশোরী চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলায়।
ওই কিশোরী অভিযোগে জানায়, ইমন বিয়ের প্রলোভনে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ সুবাদে রোববার রাতে চট্টগ্রাম থেকে বসুরহাট এক্সপ্রেস বাসযোগে কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে আসে তাকে। সেখান থেকে ইমনের সহযোগী সিএনজিচালক জামাল উদ্দিন পিয়াস তাকে ও ইমনকে মুছাপুরে সাইফুলের বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় সাইফুলের বাড়িতে একটি টিনের ঘরে ইমন একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে। এলাকার লোকজন টের পেয়ে তাদের আটক করে। পুলিশ সংবাদ পেয়ে গভীর রাতে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায়।
সোমবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ধর্ষিতা কিশোরীকে ভাসমান পতিতা বলে ২৯০ ধারায় আটক ও অপর ৪ জনকে আদালতে পাঠায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম থেকে কিশোরী কোম্পানীগঞ্জে এনে ধর্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল হক জানান, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। কিশোরী ভাসমান পতিতা প্রতীয়মান হওয়ায় তাকেসহ পাঁচজনকে ২৯০ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।