খায়রুল আহসান মানিক, ইউএনবি: কুমিল্লায় উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের ফল চাষের বিপুল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি কুমিল্লার কৃষি গবেষণা কেন্দ্র উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের ফলের উদ্ভাবন করেছে, যা এ জেলার মাটিতে চাষ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, কুমিল্লা জেলা কৃষিতে সমাদৃত হলেও ফল চাষে অনেক পিছিয়ে ছিল। দীর্ঘদিন ধরে এ জেলার মাটিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ফল চাষ ও ফলন ভালো হবে না এমন ধারণা পোষণ করে আসছিল কৃষকরা। ফলে তারা বাড়ির আঙিনা কিংবা মাঠে উচ্চ ফলনশীল ফল চাষ থেকে বিরত ছিল।
কিন্তু কুমিল্লার কৃষি গবেষণা কেন্দ্র কৃষকদের এমন ধারণা বদলে দিয়েছে। তাদের উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের ফলের উদ্ভাবনের কথা শুনে জেলার কৃষকরা এসব ফলের চারা সংগ্রহে ভিড় জমাচ্ছেন।
এদিকে কুমিল্লায় ফল চাষ হবে এবং ফলন ভালো হবে তা কৃষকদের জন্য যেমন সুখবর তেমনি ভোক্তাদেরও। নিজ জেলায় চাষকৃত ফলে স্থানীয়দের ফলের চাহিদা মিটবে এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।
কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, কুমিল্লা জেলায় রয়েছে নানা জাতের মাটি। কোথাও পাহাড়, কোথাও সমতল আবার কোথাও জলমগ্ন। এসব জায়গায় বিভিন্ন জাতের নানা ফসল চাষ হলেও ফল চাষ হয়নি। ফল চাষ করতে তাই কৃষি গবেষণা কেন্দ্র আবহাওয়া ও মাটি উপযোগী ফলের জাত উদ্ভাবন করছে। আম, মাল্টা, নারিকেল, বরই, লিচু, কলা ও ড্রাগন ফলসহ নানা জাতের উচ্চ ফলনশীল ফলের চারা উৎপাদন করে তা কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। এসব চারা নিতে প্রতিদিন কৃষকরা ভিড় জমাচ্ছেন। এরই মধ্যে চারার মান ভালো এবং মাটি উপযোগী বিষয়গুলো কৃষকরাও বুঝতে পেরেছেন।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, কুমিল্লার গবেষক সিফাতে রাব্বানা খানম জানান, এখানকার মাটিতে ফল চাষ ভালো হবে কিনা তা নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করতে হয়েছে। তারা মাটির ধরণা অনুযায়ী গবেষণা করছেন। গবেষণা শেষে তারা ভালো ফলাফল পাবারও আশা ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, কুমিল্লার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. উবায়দুল্লাহ কায়ছার জানান, তারা বেশ কয়েকটি জাত উদ্ভাবন করেছেন যা ভালো ফলন দিবে। আগামীতে কুমিল্লায় ব্যাপক ফল চাষও হবে এমনটাই আশা করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।