Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home কে এই ডা. সাবরিনা চৌধুরী
জাতীয়

কে এই ডা. সাবরিনা চৌধুরী

Shamim RezaJuly 12, 20206 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক : ডা. সাবরিনা চৌধুরী। পেশায় হৃদরোগ সার্জন। টেলিভিশনেও পরিচিত মুখ। টকশোতে স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনায় নিয়মিত অংশ নিতেন। দিতেন সুস্থ থাকার নানা টিপস। সবকিছু ছাড়িয়ে ভয়ঙ্কর এক প্রতারণার অভিযোগে এখন তিনি আলোচনায়। খলনায়ক তার স্বামী আরিফ চৌধুরী। যার চতুর্থ স্ত্রী হিসাবেই সাবরিনা পরিচিত। আরিফের দুই স্ত্রী থাকেন রাশিয়া ও লন্ডনে। আর আরেকজনের সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে।

ডা. সাবরিনাকে একদিন এক চিকিৎসকের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটানো অবস্থায় পেয়েছেন স্বামী আরিফ চৌধুরী। পরে আরিফের মারধরের শিকার হন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ওই চিকিৎসক। এনিয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক সাবরিনা শেরেবাংলা থানায় একটি জিডি করেছিলেন। জেকেজির এক কর্মীকে অশালীন প্রস্তাব দেওয়ার ঘটনায় গুলশান থানার আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। এসব নিয়ে সেই সময় আলোচনার কমতি ছিল না। সম্প্রতি এই দম্পতি নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। জেকেজি হেলথ কেয়ার নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে তারা ২৭ হাজার করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে কোনো রকম পরীক্ষা ছাড়াই ১৫ হাজার ৪৬০টি মনগড়া ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছেন। বাকি ১১ হাজার ৫৪০টি রিপোর্ট দিয়েছে আইইডিসিআরের মাধ্যমে। জেকেজির গুলশানের অফিস থেকে ১৫ হাজার ৪৬০টি ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে এই দম্পতি হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৮ কোটি টাকা।

করোনার রিপোর্ট জালিয়াতির কারণে রোববার (১২ জুলাই) জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে গ্রেপ্তার সাবরিনা চৌধুরীর স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ৬ জন এখন কারাগারে আছেন। পুলিশি তদন্তে তাদের ভুয়া রিপোর্ট প্রদানের সত্যতাও মিলেছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত সাবরিনার হাত ধরেই করোনার স্যাম্পল কালেকশনের কাজটি ভাগিয়ে নেয় অনেকটা অখ্যাত জেকেজি নামে এই প্রতিষ্ঠান। জালিয়াতির কাজে সংশ্লিষ্টতা মিলেছে ডা. সাবরিনা চৌধুরীর। জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের রেজিষ্টার সার্জন হয়েও তিনি একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সরকারি চাকরি করেও তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রভাব খাটিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ ভাগাতেন। এর বাইরে এই দম্পতির বিরুদ্ধে নানা অনৈতিক কর্মকান্ড, মাদকতা, বিশিষ্টজনের নাম ভাঙ্গিয়ে ফায়দা নেয়া, হুমকি-ধামকি, সন্ত্রাসী বাহিনী লালন পালনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। বিএমএ নেতার পরিচয় ভাঙিয়ে চলাফেরা করেন সাবরিনা।

প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তোলা কিছু ছবি ব্যবহার করে এই চিকিৎসক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নিজের ক্ষমতা জাহির করতেন এবং প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করতেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।

জেকেজি প্রতিষ্ঠানের সিইও আরিফ চৌধুরীর নামে জালিয়াতি, সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলাসহ আরো কয়েকটি অভিযোগে চারটি মামলা করেছে পুলিশ। এসব মামলার কোনোটিতেই আসামি করা হয়নি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে। মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রথমদিকে সাবরিনার সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরে তদন্তে সাবরিনার সংশ্লিষ্টতা বেরিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে রিপোর্ট জালিয়াতি, তিতুমীর কলেজে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সংবাদকর্মীদের ওপর হামলায় সাবরিনার সংশ্লিষ্টতা মিলেছে।

এদিকে শনিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ডা. সাবরিনা চৌধুরী বলেছেন, আমি আরিফকে কাজ পাইয়ে দিয়েছি বা দিতাম এগুলো একেবারে মিথ্যা কথা। বরং জেকেজির জাল সনদ তৈরির কথা তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তবে আরিফ পুলিশের কাছে শিকার করেছেন জেকেজির সঙ্গে সাবরিনার সম্পৃক্ততা রয়েছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সাবরিনা-আরিফ দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে দিব্যি জালিয়াতির কারবার চালিয়ে যাচ্ছিলো। হয়তোবা তাদের এমন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কেউই কোনোদিন জানতে পারতো না। তবে তিতুমীর কলেজে করোনার বুথ স্থাপন করে অনৈতিক কর্মকাণ্ড, গান বাজনা, পার্টি ও কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি ও শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ তাদের জালিয়াতির বিষয়টি ধরতে পারে। জালিয়াতির ঘটনায় পুলিশ আরিফ ও তার ৫ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে ২৫শে জুন। পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানায় নিয়ে আসে। এরপর ওইদিন রাতেই আরিফকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে একটি বিশেষ দলের পরিচয় দিয়ে অন্তত ৬০/৭০ জন লোক তেজগাঁও থানায় হামলা করেছিলো। হামলাকারীরা ওইদিন থানার কেচিগেট ভাংচুর করে। পুলিশের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই হামলাকারী ১৮ জনকে আটক করে পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, হামলাকারীরা নিজেদের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পরিচয় দিয়েছিল। তারা আরিফকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য এতটাই মারমুখী ছিল প্রথমদিকে থানার পুলিশও অসহায় হয়ে পড়েছিল। পরে বাধ্য হয়ে পুলিশ তাদেরকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া খোদ আরিফকে গ্রেপ্তার করে আনার পর সে পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। মাদকাসক্ত আরিফ থানায় এসে পুলিশের কাছে নেশাদ্রব্য চায়। পুলিশ তাকে নেশাদ্রব্য না দেয়াতে সে চড়াও হয়ে থানার সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আরিফ সবসময় নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয় দিত। আদতে সে দলীয় কোনো পদপদবিতে ছিল না। শুধু দলীয় নাম ভাঙ্গিয়ে সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে ফায়দা নিতো। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে সে দাফট দেখাত। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচয় দিয়েও সে মানুষকে হুমকি ধামকি দিত। এই পরিচয় দিয়ে আরিফ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালককে হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ আছে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সাবরিনা ও আরিফ দম্পতি দীর্ঘদিন ধরেই বেপরোয়া। নানান অনৈতিক কাজের সঙ্গে তারা জড়িত। বিভিন্ন অনৈতিক কাজকর্ম করে তারা কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। জেকেজিতে চাকরি করতেন নার্স তানজিনা পাটোয়ারী ও তার স্বামী হুমায়ূন কবির। তানজিনার বেতন ছিল ৩০ হাজার টাকা। ভুয়া করোনা পরীক্ষা করে কোটি কোটি টাকা কামানো দেখে তানজিনা দাবি করেন তার বেতন বাড়িয়ে দিতে হবে। বিষয়টি জেকেজির কর্ণধার আরিফ চৌধুরী জেনে তানজিনা ও তার স্বামীকে চাকরিচ্যুত করেন। পরে তারা দুজন বাসায় বসে নিজেরাই করোনার ভুয়া টেস্টের বাণিজ্য চালান। তানজিনা নমুনা সংগ্রহ করতেন আর ঘরে বসে তার স্বামী রিপোর্ট তৈরি করতেন। ২৩ জুন রাতে তানজিনা ও তার স্বামী গ্রেফতার হওয়ার পর বেরিয়ে আসে জেকেজির প্রতারণার রহস্য। এর পর জেকেজির গুলশান অফিসে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় প্রতারক আরিফ চৌধুরীসহ অন্যদের।

তেজগাঁও পুলিশের একাধিকসূত্র জানিয়েছে, আলোচিত এই ঘটনার তদন্তে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্যই মিলেছে। তদন্তও প্রায় শেষ পর্যায়ে। পুলিশি তদন্তে সাবরিনা ও আরিফের খুঁটির জোরের সন্ধান মিলেছে। যাদের প্রভাব খাটিয়ে তারা বেপরোয়াভাবে অপকর্ম করে যাচ্ছিলো। প্রভাব খাটিয়ে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তাদের ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠানে করোনার নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে আসে। শুধুমাত্র তিতুমির কলেজে বুথ স্থাপন করে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি পেলেও তারা প্রভাব খাটিয়ে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে শুরু করে ঢাকার বাইরে থেকেও মাঠকর্মী পাঠিয়ে নমুনা সংগ্রহ করত। অল্প কিছুদিনেই তারা ২৭ হাজার মানুষের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। যারমধ্যে ১৫ হাজারের ওপরে ভুয়া সনদ দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকাসহ, নায়ায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ৪৪টি বুথ স্থাপন করেছিল সাবরিনা-আরিফের দম্পতির জেকেজি প্রতিষ্ঠান। নমুনা সংগ্রহের জন্য মাঠকর্মী নিয়োগ দেয়া ছিল। তাদের হটলাইন নম্বরে রোগীরা ফোন দিলে মাঠ কর্মীরা বাড়ি গিয়েও নমুনা সংগ্রহ করতেন। আবার অনেককে জেকেজির বুথের ঠিকানা দেয়া হতো। এভাবে কর্মীরা প্রতিদিন গড়ে ৫০০ মানুষের নমুনা সংগ্রহ করতো। পরে তাদের গুলশানের একটি ভবনের ১৫ তলার অফিসের একটি ল্যাপটপ থেকে ভুয়া সনদ দিত। ওই ল্যাপটপ থেকে জেকেজির কর্মীরা রাতদিন শুধু জাল রিপোর্ট তৈরির কাজ করতো। প্রতিটা সনদের জন্য নেয়া হতো ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। বিদেশিদের কাছ থেকে নেয়া হতো ১০০ ডলার। যদিও শর্ত ছিল বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহ করে সরকার নির্ধারিত ল্যাবে পাঠাতে হবে। কিন্তু তারা সকল প্রকার শর্তভঙ্গ করে পরীক্ষা ছাড়াই রিপোর্ট দিতো।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘জাতীয় এই কে চৌধুরী ডা. সাবরিনা
Related Posts
প্রেস সচিব

বাংলাদেশ বীরদের দেশ : প্রেস সচিব

December 23, 2025
Land-s

জমির দলিলে আর এনআইডিতে নামের মিল নেই? জানুন সহজ সমাধান

December 23, 2025
নৌপরিবহণ উপদেষ্টা

মাফিয়াচক্রের কারণে অতীতে লাভ দেখেনি বিএসসি: নৌ উপদেষ্টা

December 23, 2025
Latest News
প্রেস সচিব

বাংলাদেশ বীরদের দেশ : প্রেস সচিব

Land-s

জমির দলিলে আর এনআইডিতে নামের মিল নেই? জানুন সহজ সমাধান

নৌপরিবহণ উপদেষ্টা

মাফিয়াচক্রের কারণে অতীতে লাভ দেখেনি বিএসসি: নৌ উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ভোটের আগে যে কোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার নির্দেশ

Hadi

হাদির ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণের নির্দেশ

নতুন দায়িত্বে ডিআইজি

নতুন দায়িত্বে ৬ ডিআইজি

gun man

নিরাপত্তা বিবেচনায় ২০ জনকে গানম্যান দেয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশ রেলওয়ে

বিএনপিকে ১০টি স্পেশাল রিজার্ভড ট্রেন দেওয়া হয়েছে : রেলপথ উপদেষ্টা

Police

পুলিশ সদর দপ্তরের ৬ ডিআইজি নতুন দায়িত্বে

হাদি হত্যার বিচার

৩০ দিনের মধ্যে হাদি হত্যার বিচার দাবি

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.