জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের সাথে তিস্তা ও গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নবায়নের বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার যাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাথে পরামর্শ করে সেজন্য একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। শুক্রবার বিধানসভায় এ প্রস্তাব পাস হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ।
রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, শশী পাঞ্জা এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের সাথে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিলেন। এতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রকে তিস্তা ও গঙ্গার পানি বাংলাদেশের সাথে বন্টনের বিষয়ে রাজ্য সরকারের সাথে ‘সম্পূর্ণ’ পরামর্শ করতে বলা হবে।
বিধানসভার কার্যবিধি ১৬৯-এর অধীনে পাস করা প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে এই ধরনের আলোচনা প্রয়োজন যাতে ‘পশ্চিমবঙ্গের জনগণ রাজনৈতিক পক্ষপাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’
বিধায়ক কাঞ্জিলাল বলেছেন, ‘তিস্তার পানি বাংলাদেশের সাথে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেন্দ্রের উচিত রাজ্যের সাথে আলোচনা করা। তাড়াহুড়ো করে নেওয়া যেকোনো সিদ্ধান্ত উত্তরবঙ্গে পানীয় জলের প্রয়োজনের ঘাটতি ঘটাতে পারে বলে প্রস্তাবে বলা হয়েছে।’
গত ২২ জুন দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে আলোচনা হয়। ওই সময় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়ন। প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের দিকে তিস্তার পানি সংরক্ষণ ও পরিচালন পদ্ধতি উন্নয়নের জন্য শিগিগিরই একটি বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশে যাবে। এর দুদিন পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকারকে বাদ দিয়ে কেন্দ্র এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এছাড়া তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়িত হতে দেওয়া সম্ভব নয় বলেও তিনি সাফ জানিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।