মসজিদ বা ঈদগাহের দিকে এক পথে গিয়ে অন্য পথে ফিরে আসা সুন্নত। হজরত জাবের (রা.) বলেছেন, নবী করিম (সা.) ঈদের দিনে পথ বিপরীত করতেন। (সহিহ বুখারি) অর্থাৎ, যে পথে তিনি ঈদগাহে যেতেন, সে পথে ফিরে না এসে অন্য পথে ফিরতেন, যাতে দুই দিকের পথের লোকদেরই সালাম দেওয়া যায় এবং তাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা যায়।
ঈদ উপলক্ষে পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানানো শরিয়ত অনুমোদিত একটি বিষয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সাহাবারা ঈদের দিন সাক্ষাৎকালে একে অপরকে বলতেন, ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়ামিনকুম।’ এর অর্থ, আল্লাহতায়ালা আমাদের ও আপনার ভালো কাজগুলো কবুল করুন।
এতিমের খোঁজখবর নেওয়া, তাদের খাওয়ানো এবং সম্ভব হলে নতুন কাপড়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া। এটা ইমানদারদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। একই সঙ্গে নিজ পরিবার–পরিজনকে সময় অতিবাহিত করা, আত্মীয়স্বজন, মা-বাবার সঙ্গে দেখা করা ও খোঁজখবর নেওয়া, পাড়া–প্রতিবেশী, গরিব–অসহায় নির্বিশেষে সবার খোঁজখবর নেওয়া ও কুশল বিনিময় করা, সম্ভব হলে পরস্পরকে দাওয়াত দেওয়া, আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা, ঝগড়া–বিবাদ–কলহ–হিংসা–বিদ্বেষ ভুলে সবার সঙ্গে মোলাকাত করে একাকার হয়ে যাওয়া।
আল্লাহ বান্দাদের বিষয়ে ফেরেশতাদের সঙ্গে গর্ব করে বলেন, হে আমার ফেরেশতারা! যে শ্রমিক তার কাজ পূর্ণ করেছে, তার বিনিময় কী? তারা বলবে, তাদের বিনিময় হলো তাদের পারিশ্রমিকও পরিপূর্ণভাবে পরিশোধ করা। বলবেন, হে আমার ফেরেশতারা! আমার বান্দারা তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করেছে, তারপর দোয়ার উদ্দেশে বের হয়েছে।
আমার সম্মান, মহত্ত্ব, করুণা, মাহাত্ম্য ও উচ্চ মর্যাদার শপথ! আমি তাদের প্রার্থনা গ্রহণ করব। এরপর আল্লাহ বলবেন, তোমরা ফিরে যাও, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিলাম। তোমাদের মন্দ আমলগুলো নেকিতে পরিবর্তন করে দিলাম। নবীজি (সা.) বলেন, তারা ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।